চারিদিকে নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে প্রকৃতিকে আরো কাছ থেকে চেনাতে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাজের সুযোগ করে দিতেই বন দফতরের এই উদ্যোগ। কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় এই ইকোপার্ক তৈরি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ডাউহিল পাইন ফরেস্ট অন্যতম। কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও-এর উদ্যোগে চালু হয়েছে গ্রিন অ্যাম্বাসেডর প্রজেক্ট যেখানে বিভিন্ন স্কুলের বাচ্চাদের প্রকৃতিকে আরও কাছ থেকে চেনার সুযোগ করে দেওয়া হবে বিশেষ করে বিভিন্ন গাছপালা জীবজন্তু প্রাণী সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়া হবে।
advertisement
সাধারণত পরিবেশ সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা বার্তা পৌঁছে দিতে এবং গ্রামের মানুষদের স্বাবলম্বী করতেই এই উদ্যোগ। এই কাজের মধ্যে শুধু বন বিভাগের কর্মীরাই নয় রয়েছে গ্রামবাসীরাও। এ প্রসঙ্গে কার্শিয়াং ডাউহিল বিটের রেঞ্জার সম্বর্ত সাধু জানান, এখানে বাচ্চাদের বিভিন্নভাবে প্রকৃতি পাঠ করানো হয় তার মধ্যে রয়েছে ট্রি হাগিং, ট্রেজার হান্ট, এছাড়াও চলে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে বিভিন্ন পোস্টার মেকিং কম্পিটিশন।
জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে ট্রেকিং, হাইকিং থেকে শুরু করে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা, সেই সমস্তটাই দেখে গ্রামের বাসিন্দারা এবং সঙ্গে সহযোগিতায় থাকে বনকর্মীরা। বর্তমানে প্রচুর স্কুল পড়ুয়া এই জায়গায় আসছে শুধু স্কুল পড়ুয়ারাই নয় পরিবেশপ্রেমীরাও দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসছে এই জায়গায়।
আপনিও যদি সমস্ত একঘেয়েমি ছেড়ে একটু অন্যরকম ভাবে এক রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী হতে চান তাহলে অবশ্যই এই জায়গা হতে পারে আপনার সেরা ঠিকানা। কার্শিয়াং ডাউহিল পাইন ফরেস্ট বর্তমানে পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য। চারিদিকে ঘন-জঙ্গলের মাঝে টেন্টে রাত্রিযাপন সামনে জ্বলবে বন ফায়ার। বনদফতরের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় নতুন রূপ পেয়েছে এই পাইন ফরেস্ট স্বাবলম্বী হয়েছে এই গ্রামের মানুষেরা। সব মিলিয়ে চারিদিকে পাহারে ঘেরা জঙ্গলে রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের মজা নিতে সকলেই ছুটে আসছে এই জায়গায়।
সুজয় ঘোষ