ঘুম এবং উর্বরতা: ঘুম এবং প্রজনন এঁকে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ভাল ঘুম অপরিহার্য। মেলাটোনিন মস্তিষ্ক থেকে নিঃসৃত একটি হরমোন, এটাই ঘুমকে প্ররোচিত করে। শরীরের সার্কাডিয়ান ছন্দ বজায় রাখে। অতএব ঘুম এবং সার্কাডিয়ান ছন্দের ব্যাঘাত ঘটলে হরমোনের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
আরও পড়ুন : ডায়াবেটিস নীরব ঘাতক! এই ৭ লক্ষণ সহজেই ভুল হয়ে যায়, তাই অবহেলা নয়
advertisement
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কর্মক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। একটা সময়ের পর এটা প্রজনন হরমোনের অপর্যাপ্ত উৎপাদনের দিকে পরিচালিত করে। হরমোন ডিম্বস্ফোটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এটাই গর্ভধারণের প্রথম ধাপ। এন্ডোক্রাইন সিস্টেম, যা হরমোনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে, ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন, লুটিনাইজিং হরমোন, এবং ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন-সহ গর্ভধারণের সঙ্গে জড়িত কিছু মূল হরমোন তৈরি করে। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে এই সব ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
ডিম্বানুর গুণমান হ্রাস: বেশি রাত পর্যন্ত জেগে স্মার্টফোনে চোখ বোলানো মারাত্মক ক্ষতিকর। এই ডিভাইসগুলি থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন নিঃসরণকে প্রভাবিত করে। মাথায় রাখতে হবে, এই হরমোন ঘুমকে প্ররোচিত করে এবং একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাবের দ্বারা ডিম্বস্ফোটনের সময় ডিমগুলিকে রক্ষা করে৷ তাই মেলাটোনিন নিঃসরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডিমের মান খারাপ হতে পারে।
আরও পড়ুন : শীত পড়তেই সর্দি-কাশিতে জেরবার? প্রতিদিন এক গ্লাস হলুদ দুধ দূর করবে জটিল সমস্যা
সুস্বাস্থ্যের জন্য কতক্ষণ ঘুমের পরামর্শ দেওয়া হয়: প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা। তার বেশি নয়। যাঁরা ৭ ঘণ্টার কম ঘুমোন তাঁদের গর্ভধারণের ক্ষমতা ১৫ শতাংশ কমে যায়। আর ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়ে।
ভাল ঘুমের জন্য টিপস:
কয়েকটি জিনিস মেনে চললে ঘুম ভাল হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম, স্মার্টফোনের কম ব্যবহার, শোওয়ার ঘরের শান্ত পরিবেশ এবং কফি, ধূমপান এবং মদ্যপান কমিয়ে দিলে ঘুম ভাল হয়।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)