আরও পড়ুন-জ্বালানির পর এবার মহার্ঘ ওষুধ, প্যারাসিটামল-সহ ৮০০ ওষুধের দাম বাড়ছে !
ত্রিপুরা নিবাসী ৪৭-বছর-বয়সী সঞ্জয় সাহাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে আগরতলা প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়, পরে তাঁকে ১৫ মার্চ ২০২২-এ কলকাতার মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ওই ব্যক্তি বাজার করতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় বাম দিকে মুখের উপরের অংশে আঘাত পান। পরে চিকিৎসকরা জানান যে একটি এয়ারগানের গুলি এসে লেগেছিল। বুলেটটি মুখের বাঁ দিকের হাড়ের গভীরে আঘাত করে, যার ফলে লেফট হেমিফেসিয়াল এরিয়ায় ব্যথা হয়, মুখ ফুলে যায়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর, জানা যায় তিনি গুরুতর অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস-এ ভুগছিলেন। এর থেকে পরবর্তীতে পাঁজরে প্রভাব-সহ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও তৈরি হওয়ার ভয় ছিল। বুলেটের সঠিক অবস্থান সনাক্ত করতে এবং বুলেটটি সনাক্ত করতে ব্লাড টেস্ট ও 3D স্ক্যান সহ সিটিফেসও করা হয়। প্রাথমিক ডায়াগনোসিস, রেডিওলজিকাল এবং ক্লিনিকাল পরীক্ষার পরে ডাক্তাররা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি পদ্ধতিতে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন।
advertisement
আরও পড়ুন-দুনিয়ার সবচেয়ে দামি ‘আলুভাজা’! ফ্রেঞ্চ ফ্রাইসের দাম শুনলে চমকে উঠবেন
১৯ মার্চ ২০২২-এ ওই ব্যক্তির অপারেশন করা হয়। অ্যানেস্থেশিয়ার সময়, মেরুদণ্ডের অনমনীয়তা এবং অত্যাধিক প্রসারণের কারণে ইনটিউবেশন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই, ফাইব্রোপটিক ব্রঙ্কোস্কোপি নির্দেশিত পদ্ধতিতে ইনটিউবেশন করা হয়। বুলেটটি মুখের হাড়ের বাম দিকের গভীরে প্রবেশ করেছিল; মেইন নার্ভ এবং ব্লাড ভেসেলের মাঝামাঝিতে আটকে ছিল৷ অপারেশনের সময় কোনও গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ স্ট্রাকচারে আঘাত না করেই সূক্ষ্মভাবে ডিসেকশন করে কিছুক্ষণের মধ্যেই বুলেটটিকে বের করে আনা হয়।
অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বে থাকা ডা. সৌভিক রায় চৌধুরি বলেছেন, “যে সময় মি. সাহাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছিলেন। অপারেশন চলাকালীন শরীর শক্ত হওয়ার কারণে তাঁকে অ্যানেস্থেশিয়া দিতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। রোগীকে ফাইব্রোপটিক ব্রঙ্কোস্কোপি নির্দেশিত ইনটিউবেশনের মাধ্যমে অ্যানেস্থেশিয়া করা হয়। এই সাফল্যই অপারেশনকে সম্ভবপর করে তুলেছে। অপারেশনের পরের দিনই রোগীকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয়। মুখের ফোলাভাব এবং ব্যথা আগামী ২ দিনের মধ্যে অনেকটাই কমে যায়। রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় এলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”