ডায়েটে চাই সুষম খাদ্য: প্রতিদিনের ডায়েটে পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য যোগ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। সেটা কেমন? তাঁরা বলছেন, তিন ধরনের খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে। সেগুলি হল, লেবু, গোটা শস্য এবং বাদাম। এই তিন ধরনের খাবারই পুষ্টিতে ভরপুর। একইসঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এই খাদ্যগোষ্ঠীতে থাকা পুষ্টিগুণ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। ফলে মানুষ হন দীর্ঘায়ু।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুষদের এই ধরনের স্বভাব আকৃষ্ট করে মহিলাদের, বলছে সমীক্ষা
রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়: রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার জীবন থেকে ছেঁটে ফেলতেই হবে। হৃদরোগ, হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল বাড়ায় রেড মিট। নিয়মিত ও প্রচুর পরিমাণে এই জাতীয় মাংস খেলে পাকস্থলিতে কিছু ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করে৷ এদের উপস্থিতিতে মাংসের কারনিটিন নামের উপাদান ভেঙে গিয়ে ট্রাইমিথাইল্যামিন যৌগে পরিণত হয়। যা আবার রক্তে শোষিত হয়ে ও লিভারের বিপাক ক্রিয়ায় ভেঙে পরিণত হয় ট্রাইমিথাইল্যামিন-এন-অক্সাইডে৷ হার্টের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম রক্তনালিতে চর্বি জমিয়ে ইসকিমিক হৃদরোগের সূত্রপাত ঘটাতে যা অদ্বিতীয়৷প্রক্রিয়াজাত মাংস অন্ত্র এবং পাকস্থলির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
সূর্যালোকের বিকল্প নেই: সূর্যালোক শুধু ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে বড় উৎস তাই নয়, মানসিক চাপ কমাতে এবং মেজাজ ফুরফুরে রাখতেও এটা সাহায্য করে। শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। তাই দিনে অন্তত আধঘণ্টা রোদে কাটানো উচিত।
আরও পড়ুন: পাহাড়-জঙ্গল-চা বাগান-নদী, 'অফবিট' উত্তরবঙ্গকে চেনাবে বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যাল
উপবাস শরীরের জন্য ভালো: বিভিন্ন ব্রত, পার্বণে অনেকেই উপোস করেন। তার যে এত গুণ কে জানত! পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে উপোসের পর ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ে ও শরীরের কোষগুলি রক্ত থেকে অনেক বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ সংগ্রহ করতে পারে। উপোসের ফলে পাচনতন্ত্র বিশ্রাম পায়। ফলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে শরীরে মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি ফিটনেসে উন্নতি হয়। তাই সপ্তাহে একদিন কমপক্ষে ১৩ ঘণ্টা উপোস করার কথা বলেন অনেক পুষ্টিবিদই।
কদম কদম বড়ায়ে যা: হাঁটলে ওজন কমে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন ১০ হাজার কদম, মানে দিনে ৫ মাইল হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যত্রতত্র, যখন–তখন জোরে হাঁটা দিলেই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যাবে অনেকটাই।
মানসিক চাপ কমাতে হবে: প্রত্যেকের জীবনেই পেশাগত চাপ থাকে অনেকটাই। এর সঙ্গে যোগ হয় সাংসারিক চাপও। দুই চাপের জোড়া ফলায় শরীরের অবস্থা কাহিল। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। ভালো বই পড়া, ধ্যান করা, প্রকৃতির মাঝে হাঁটা বা পছন্দের গান শোনা যেতে পারে। এটা মন ঠান্ডা রাখতে খুব সাহায্য করে।