TRENDING:

Vitamin C: অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে অপরিহার্য ভিটামিন সি, বাড়বে ইমিউনিটিও!

Last Updated:

Vitamin C: রিপোর্ট বলছে, ২৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী গোষ্ঠীর দুই তৃতীয়াংশ ভারতীয় এই ধরনের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনই বেশি ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: করোনা মহামারীর চোখরাঙানি এখনও কাটিয়ে উঠতে না-পারলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। কিন্তু গত দু'বছরে মানুষ বুঝে গিয়েছে ভালো স্বাস্থ্য ও ইমিউনিটির প্রয়োজনীয়তা। আর ইমিউনিটি দীর্ঘমেয়াদী রোগের ক্ষেত্রেও যেমন প্রয়োজন, তেমনই অসংক্রামক রোগ বা নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (NCD)-এর জন্যও সমান ভাবে প্রয়োজন। কারণ ভারতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই অসংক্রামক রোগ বা এনসিডি-ই। আর সব থেকে চিন্তার বিষয় হল গত তিন দশকে এর জেরে ৮৩ শতাংশ বেড়েছে মর্বিডিটি। আর এই ধরনের রোগের মধ্যে অন্যতম কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ও ডায়াবেটিস। ২০২১-এর ASSOCHAM রিপোর্ট বলছে, ২৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী গোষ্ঠীর দুই তৃতীয়াংশ ভারতীয় এই ধরনের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনই বেশি ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।
ভিটামিন সি-র অপরিহার্যতা
ভিটামিন সি-র অপরিহার্যতা
advertisement

এনসিডি নিয়ন্ত্রণ করতে সবার আগে যেটা প্রয়োজন, সেটা হল ভালো ডায়েট এবং পুষ্টি। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিজের খেয়াল রাখাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতে পুষ্টির জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট অপরিহার্য। আর আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব থেকেই যায়, আর তার জেরে বাড়তে থাকে অপুষ্টি এবং এনসিডি-র সমস্যা। মানবদেহে পুষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। এটা অন্যতম প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা ইমিউন সিস্টেমকে মজবুত করতে সহায়তা করে। শুধু তা-ই নয়, ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। আর তা শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

advertisement

কলকাতা পিয়ারলেস হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডা. সুজয় মজুমদারের বক্তব্য, ইমিউনিটি বাড়াতে ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট। লক্ষ্য করা হয়েছে যে, যেসব রোগীদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের মতো সাধারণ এনসিডি দেখা যায়, অন্যদের তুলনায় তাঁদেরই ভিটামিন সি-এর প্রয়োজন বেশি। তাই ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে পুষ্টির জোগান তো পাওয়া যাবেই। তার সঙ্গে ব্যালেন্সড ডায়েটে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাইট্রাস ফল এবং টমেটো যোগ করলে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।

advertisement

আরও পড়ুন: গরমের দিনে ঠান্ডা হতে শরবত নয়, গরম চা খান! অনেক বেশি লাভ

অ্যাবটের গ্লোবাল মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর ডা. পরাগ শেঠ জানাচ্ছেন যে, ভিটামিন সি-এর দারুণ উপযোগিতা রয়েছে। যেমন– ইমিউনিটি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি। আর মানবশরীরে ভিটামিন সি-এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে অ্যাবট। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি খেতে হবে। তাতে ইমিউনিটি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

advertisement

আরও পড়ুন: রোজ সকালে গুড়ের সঙ্গে এই উপকরণ খান, আপনার ওজন কমবেই

উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে যথাক্রমে ৭৪ শতাংশ এবং ৪৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। আর যাঁরা বিশেষ করে এনসিডি-তে আক্রান্ত তাঁদের মধ্যেই পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলস্বরূপ ইমিউনিটি কমে গিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ভিটামিন সি-এর পুষ্টির ঘাটতির রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি হল বয়সবৃদ্ধি, অপুষ্টি, ধোঁয়া-ধুলোর মতো দূষণ, তামাকজাত দ্রব্যের সেবন প্রভৃতি।

advertisement

আরও পড়ুন: বসন্তেই গ্রীষ্মের তীব্র দাপট! সুস্থ থাকতে এখন থেকেই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এভারেস্ট জয় করে ফেরা হয়নি শিক্ষকের! রানাঘাট চারের পল্লীর বিশ্বের সম্মান দিল সুব্রত ঘোষকে
আরও দেখুন

মরসুমি সংক্রমণ রোধ করতেও ভিটামিন সি অপরিহার্য। আসলে এনসিডি-তে আক্রান্তদের হামেশাই বিশেষ করে শীতের সময় সর্দি-কাশিতে ভুগতে দেখা যায়। তাই দেহের পর্যাপ্ত পুষ্টি ও এই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের জোগানের জন্য ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট বেশ উপকারী।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Vitamin C: অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে অপরিহার্য ভিটামিন সি, বাড়বে ইমিউনিটিও!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল