বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণের অত্যধিক এক্সপোজারের কারণে, ত্বক নিস্তেজ, ডিহাইড্রেটেড এবং স্ফীত হয়ে যায়। অনেক সময় ত্বকের ছিদ্র মুখও আটকে যায়। ফলে ত্বকের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। দূষণের কারণে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়। ফুটে ওঠে বলিরেখা। অকালবার্ধক্যের লক্ষণগুলো একে একে প্রকাশ পেতে থাকে।
এই অবস্থা পুরুষ-মহিলা, উভয়েরই হতে পারে। বর্তমান সময়ে ত্বকের যত্নের বিষয়ে পুরুষরাও আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তাঁরাও নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলেন। কিন্তু তাপ এবং দূষণ বাড়লে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
ক্লিনজিং: বাইরে বেরনোর আগে ত্বকের যত্ন নেওয়া যে কোনও স্কিন কেয়ার রুটিনের পূর্বশর্ত। এক্ষেত্রে ক্লিনজিং মাস্ট। এটা ত্বককে আরাম দেয়। শুষ্কতার সঙ্গে লড়াই করে। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। লেবু, চারকোল এবং কন্ডিশনার যুক্ত ডিপ ক্লিন জেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সকালে একবার ব্যবহার করলে ত্বক দীর্ঘক্ষণ সতেজ থাকবে।
হাইড্রেট: সর্বদা নিজেকে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার। হাইড্রেটেড থাকা এবং ময়েশ্চারাইজের ব্যবহার বায়ুদূষণের ফলে হওয়া ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত, বড়দিনে আবহাওয়ার বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
সানস্ক্রিন: অনেকেই বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগানো উচিত। এটা সম্পূর্ণ ভুল। সানস্ক্রিন ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে তো বাঁচায়ই, দূষণ থেকে রক্ষার জন্য ত্বকে অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। সঠিক সানস্ক্রিন বাছাই করা আবশ্যক। কারণ দূষণের কণা যেমন ধুলো, ছাই ইত্যাদি ত্বকের গড় ছিদ্রের চেয়ে ছোট। ফলে ছিদ্রমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে ব্রণর মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সানস্ক্রিন যেন তৈলাক্ত না হয়।
আরও পড়ুন: শুধুই সরকারি কর্মসূচি, বাংলাতে এলেও বঙ্গ বিজেপির সভায় 'না' মোদির
সঠিক ডায়েট: এটা অত্যন্ত জরুরি। খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ভিতর থেকে তো বটেই, বাইরে থেকেও সুস্থ রাখবে। তাজা জুস, ফল এবং শাকসবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে এবং খাবারের মধ্যে ভাল ফিলার হিসেবে কাজ করে।