স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থূলতার হার সবচেয়ে কম। এর কারণ কোরিয়ানদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা। প্যাকেটজাত খাবার তাঁরা খুব একটা পছন্দ করেন না। কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলেন। আর বাদ দেন চিনি। ফলে যে সব খাবারের কারণে মানুষের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার সবকটাকেই সযত্নে এড়িয়ে চলেন কোরিয়ানরা।
advertisement
প্রচুর শাকসবজি: লাঞ্চ হোক কিংবা ডিনার, পাতে প্রচুর শাকসবজি নিয়ে বসেন কোরিয়ানরা। এটা তাঁদের খাদ্যাভ্যাসের অঙ্গ। প্লেট ভর্তি থাকে মাশরুম, গাজর, টম্যাটো, ক্যাপসিকামে। অর্থাৎ ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খান কোরিয়ানরা। পরিমাণে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট থাকে কম। এতে হজমশক্তি বাড়ে। শরীরে ফ্যাট জমতে পারে না। কোলেস্টেরলের মাত্রাও কম থাকে।
সি ফুড: বাঙালিদের মতোই কোরিয়ানরাও মাছ ভক্ত। এটা তাঁদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়। তবে শুধু মাছ নয়, যে কোনও সামুদ্রিক খাবারই তাঁদের খুব প্রিয়। বিশেষত গ্রিল করা সেলফিশ এবং অক্টোপাস। এই দুটি কোরিয়ান কুইজিনের ব্যাপক জনপ্রিয় পদ। এই সব খাবার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে। যেটা ওজন কমাতে খুব সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: বিপুল লোক আসছে উত্তর থেকে, ২১ জুলাই থাকছে বড় চমক! অভিষেকের বার্তায় চাঞ্চল্য
কিমচি: এটা কোরিয়ান স্পেশাল। আচারের মতো ঝাল ঝাল বাঁধাকপির একটি বিশেষ পদ রান্না করেন তাঁরা। এটারই নাম কিমচি। তবে শুধু বাঁধাকপি নয়, যে কোনও সবজি দিয়েই কিমচি তৈরি করেন তাঁরা। এটা শুধু খেতে সুস্বাদু তাই নয়, হজমশক্তিকেও বাড়ায়।
ভাত: কোরিয়ানরা প্রচুর ভাত খান। বাঙালিদের থেকেও বেশি। অনেক বাঙালিরই রুটি ছাড়া চলে না। কিন্তু কোরিয়ানরা রুটির বদলে ভাত খেতেই পছন্দ করেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। ভাত সহজেই হজম হয়। তাছাড়া ভাতের ফ্যাট-উপাদানও অনেক কম। ওজন বাড়ার হাত থেকে এভাবেই নিজেদের বাঁচিয়ে চলেন কোরিয়ানরা।
আরও পড়ুন: রাশভারী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট দিতে আসা বিধায়কদের হাতে-হাতে 'নিজেদের খাবার'!
ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত খাবারে না: পরম্পরায় মারাত্মক ভক্তি কোরিয়ানদের। দেশীয় খাবারেই তাঁদের আস্থা। প্যাকেটজাত খাবার ছুঁয়েও দেখেন না। ফাস্ট ফুডও কোরিয়ানদের কবজা করতে পারেনি।
হাঁটা অথবা সাইকেল: কোরিয়ানরা হাঁটতে ভালোবাসেন। কাছাকাছি যাওয়ার থাকলে গাড়ির বদলে হেঁটে যাওয়াই পছন্দ করেন তাঁরা। আর সাইকেল চালাতে ভালোবাসেন। লিফটের বদলে সিঁড়ি ভাঙারই পক্ষপাতী। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার এই প্রণালী কোরিয়ানদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।