ঔরঙ্গাবাদের তারা পান সেন্টারে প্রায় ৫১ রকমের পান পাওয়া যায়। তার মধ্যে ‘কোহিনূর’ একটা। শুধু ভারতে নয়, এই পানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারেও। দোকান মালিক মহম্মদ সরফুদ্দিন সিদ্দিকির দাবি, ‘কোহিনূর পান দুবাই, কুয়েত এমনকী সৌদি আরবের মতো দেশেও রপ্তানি করা হয়’।
কেন আই পান বিখ্যাত: এই পান কামোদ্দীপক বৈশিষ্টের জন্য বিখ্যাত। একে মজা করে অনেকে ‘ভারতীয় ভায়াগ্রা’-ও বলেন। একটা পানের দাম ৫০০০ টাকা। দোকানির দাবি, একটা পান খেলে ২ থেকে ৩ দিন কামোদ্দীপনা থাকবে। তবে কোহিনূর একটা প্যাকেজ। একটা পান স্বামী, একটা পান স্ত্রীর জন্য। দোকানি আরও জানান, এই পান আগে নবাবদের জন্য তৈরি করা হত, সেখান থেকেই এর নাম হয় কোহিনূর।
advertisement
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টাতেই ভোলবদল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, গরম থেকে নরমের কারণ কী? তুমুল জল্পনা
‘অজানা’ গোপন উপাদান: এই পানে কী কী দেওয়া হয় তা নিয়ে রহস্য রয়েছে। দোকানদার সিদ্দিকি এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। কী দেওয়া হয় সেটা কেবল তাঁর মা জানতেন, এখন তিনি জানেন। দোকানের কর্মচারীরাও এই সম্পর্কে অন্ধকারে। তবে কোহিনূর পান’ ১২টি উপাদান দিয়ে তৈরি যার সবকটাই কামোদ্দীপক। কয়েকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ‘পুরুষ পান’-এ মধু, অম্বর (এক ধরনের রজন), গুলকন্দ, হরিণের কস্তূরী (প্রতি কেজি ৭০ লাখ), জাফরান (প্রতি কেজি ২ লাখ), গোলাপের পাতা (প্রতি কেজি ৮০ হাজার টাকা) এবং পশ্চিমবঙ্গে তৈরি একটি বিরল তরল (প্রতি কেজি ৭ লক্ষ টাকা) পানে অনন্য সুবাস এনে দেয়।
আরও পড়ুন: হাইওয়েতে নামল গাড়ির কাঁচ, অনুব্রত যা বললেন, তোলপাড় পড়ল বাংলায়
মহিলা পান-এ যা থাকে: রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলা পান তৈরি করা হয় গুলাব দিয়ে। সঙ্গে দেওয়া হয় অল্প পরিমাণে জাফরান, মিষ্টি পান মশলা এবং 'সফেদ মুসালি'। এটা এক ধরনের মূল বা শিকড়। মূলত ঔষধি হিসেবেই এর ব্যবহার। এই সব কটা উপাদান কলকাতার মিঠা পান পাতায় একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় কোহিনূরের মহিলা পান।
বিশেষ প্যাকেজিং: মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, বিয়ের মরসুমে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় এই পান। বিশেষভাবে ডিজাইন করা প্যাকেটে দেওয়া হয় কোহিনূর। সঙ্গে থাকে একটা ছোট আতরের বোতল। সুগন্ধি হিসেবে এটা মালিশ করা যায় বা বালিশে লাগানো হয়।