TRENDING:

Duck Egg: হাঁসের ডিম ভালবাসেন? কতটা উপকারী এই ডিম? নাকি ক্ষতি হচ্ছে শরীরের?

Last Updated:

Duck Egg: মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম আকারে বড়। খোসাটাও তুলনামূলকভাবে শক্ত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: হাঁসের ডিম ভাল না কি মুরগির ডিম? এই নিয়ে বিতর্ক বহু পুরনো। বিশেষ করে যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, পুষ্টিগুণ নিয়ে মাথা ঘামান, তাঁরা হাঁস আর মুরগির ডিমের গুণাগুণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে মজে থাকেন। জনপ্রিয়তার কথা বললে অবশ্য কেউ কারও চেয়ে কম যায় না। তবে হ্যাঁ, পুষ্টিগুণে কিছু তারতম্য রয়েছে।
কতটা উপকারী হাঁসের ডিম?
কতটা উপকারী হাঁসের ডিম?
advertisement

আকার: মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম আকারে বড়। খোসাটাও তুলনামূলকভাবে শক্ত। আকারে বড় হওয়ার কারণে হাঁসের ডিমের কুসুমও বড় হয়। হাঁসের ডিম বিভিন্ন রঙের হয়। তবে খোসা শক্ত হওয়ার কারণ ফাটাতে অসুবিধা হয়। কিন্তু এই কারণেই হাঁসের ডিম প্রায় ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত রেখে খাওয়া যেতে পারে। যদিও, টাটকা ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

advertisement

পুষ্টিগুণ: বড় কুসুমের কারণে, হাঁসের ডিমে চর্বি এবং কোলেস্টেরল উভয়ই মুরগির ডিমের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেলের পরিমাণ সমান হলেও হাঁসের ডিমে প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে। যাঁরা ডায়েটে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খোঁজেন তাঁদের জন্য হাঁসের ডিম যথাযথ। হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এতে অতিরিক্ত ভিটামিন বি ১২ রয়েছে, যা লোহিত রক্তকণিকা গঠন, ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং স্বাস্থ্যকর স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়।

advertisement

আরও পড়ুন: অসুস্থতা ছিল না, কিন্তু বুধবার বদলে গেল পরিস্থিতি! অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কারণ কী?

স্বাস্থ্যকর: হাঁসের ডিমে থাকা ভিটামিন বি ১২ হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রক্ত ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এতে থাকা সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তার উপর হাঁসের ডিম রিবোফ্লাভিন সমৃদ্ধ, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

advertisement

আরও পড়ুন: কলকাতার বহু এলাকায় বন্ধ থাকবে পানীয় জল সরবরাহ! কবে, কোথায়-কোথায় বন্ধ পরিষেবা?

হাঁসের ডিম কি শরীরের জন্য ভালো? এর উত্তর, হ্যাঁ। পুষ্টির দিক থেকে হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক এগিয়ে। হাঁসের ডিমে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন এ, থায়ামিন ইত্যাদি মুরগির ডিমের তুলনায় ১০০ গ্রাম বেশি থাকে। এগুলি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা স্বাভাবিক মানুষের বিপাকের জন্য অত্যাবশ্যক৷ ২০১৫ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, হাঁসের ডিমের সাদা অংশে থাকা পেপটাইডগুলি প্রয়োজনীয় খনিজ ক্যালসিয়াম শোষণ করে হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, হাঁসের ডিমের সাদা অংশে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হৃদরোগ এবং নিউরোডিজেনারেটিভ অবস্থা-সহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

ব্যবহার: হাঁসের ডিমে একটা আঁশটে গন্ধ আছে। তাই অনেকেই পছন্দ করেন না। তবে তেল, মশলা সহযোগে ভালো করে রাঁধলে আঁশটে গন্ধটা আর থাকে না। হাঁসের ডিম সবচেয়ে স্বাদু হয় ডিমের তরকারি, অমলেট, বেক এবং প্যান সিরাডে। সেদ্ধ খেতে চাইলে সামান্য রসুন আর মাখন দিয়ে একবার কড়ায় নেড়ে নিলে ভালো হয়। মাশরুম বা পালং শাকের যে কোনও রান্নায় হাঁসের ডিম দিলে দারুণ খেতে লাগে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Duck Egg: হাঁসের ডিম ভালবাসেন? কতটা উপকারী এই ডিম? নাকি ক্ষতি হচ্ছে শরীরের?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল