কার্যকর এবং নিরাপদ উপাদানে তৈরি পণ্যই সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। এগুলো ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি, দূষণ এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। এখানে ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভালো উপাদানগুলোর একটা তালিকা দেওয়া হল, যা শুধু ত্বকের চেহারা এবং টেক্সচারের দিকে লক্ষ্য রাখবে তাই নয়, ত্বকের যত্নে সামগ্রিক সুবিধে দেবে।
আরও পড়ুন: সুদীপ্ত সেনের কী করুণ পরিণতি! জামিন পেয়েও টাকার অভাবে সেই পুলিশি হেফাজতেই
advertisement
চাগা মাশরুম: চাগাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটা ত্বকের যে কোনও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করে। স্কিনটোন সমান রাখার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ব্রণ, ডার্মাটাইটিস, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, চুলকানি, রোসেসিয়া বা একজিমার মতো ত্বকের সমস্যা থাকলে চোখ বন্ধ করে চাগা মাশরুম ব্যবহার করা যায়। এটা সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং অকাল বার্ধক্য রোধ করে।
প্রক্সিলানেগক্স: অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্টই এর ট্রেড মার্ক। এর ব্যবহারে ত্বক টানটান হয়। প্রক্সিলানেগক্স মূলত জাইলোজ থেকে প্রাপ্ত একটা চিনির অনু। কোলাজেনের সংশ্লেষনকে উদ্দীপিত করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। ফলে বলিরেখা কমে দ্রুত। এই উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলে সামগ্রিক ত্বক অনেক তরুণ দেখায়।
ফাইটোমিমেটিক ভিটামিন এ: বলিরেখা হ্রাস করে ত্বক করে তোলে মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকের পৃষ্ঠের পুনর্নবীকরনেও এর ভূমিকা অপরিসীম। শুধু বলিরেখা নয়, কালো দাগ, নিস্তেজ ত্বক, খসখসে চামড়াকেও মসৃণ করে তোলে ফাইটোমিমেটিক ভিটামিন এ। আদতে এটা টোন, টেক্সচার এবং বলিরেখার জন্য তিনগুণ শক্তি সহ একটি অ্যান্টিএজিং ফর্মুলা।
বিশুদ্ধ ভিটামিন সি: ত্বকের গঠনে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যজনিত উপসর্গ যেমন ফাইন লাইন, বলিরেখা এবং ঝুলে যাওয়া ত্বকের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বয়স বাড়লে চামড়া ঝুলে যায়। ভিটামিন সি এই প্রক্রিয়াটাকে ধীর করে দেয়। উল্লেখ্য, বয়স বাড়লে কোলাজেন উৎপাদন কমতে থাকে। বিশুদ্ধ ভিটামিন সি এই প্রক্রিয়াটাকেও উল্টে দেয়। তবে হ্যাঁ, প্রতিদিন ত্বকে ১২.৫ শতাংশের বেশি ভিটামিন সি ব্যবহার করা উচিত নয়।