বয়সকালে হাঁটুর ক্ষয় শুরু হয়। যার ফলে হাঁটু ব্যথা বাড়তে শুরু। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই অস্টিওআর্থারাইটিস রোগ প্রবণতা দ্রুত শুরু হয়। মূলত শীতকালে এই ব্যথা প্রবল হয়। তবে আগে থেকে চিকিৎসা করলে বা চিকিৎসকদের পরামর্শ মত ওষুধ খেলে সেই রোগ থেকে কিছুটা উপশম মেলে। সামান্য পরিচর্যা করলে মিলবে সুরাহা। কী জানালেন চিকিৎসক? জানুন বিস্তারিত।চিকিৎসকের মতে, হাঁটু ব্যথা হলে, প্রথমে রোগীর হাড় ক্ষয় কতটা হয়েছে তা পরিমাপের জন্য এক্স-রে করতে হবে।এই অস্টিও আর্থারাইটিসকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। গ্রেড ওয়ান বা কম ক্ষতি হলে প্রাথমিকভাবে কিছু ব্যায়াম, ফিজিওথেরাপি কিংবা সামান্য ওষুধ দিলে সেরে যায়। তবে ক্ষয়ের পরিমাণ বেশি হলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে হাঁটু রিপ্লেসমেন্ট করতে হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতকালেও ঘামছে হাত ও পায়ের পাতা? জটিল রোগের ইঙ্গিত! বড় বিপদের আগে সাবধান
বাত বা অস্টিওআর্থারাইটিস রোগ হলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এক্স-রে প্রয়োজন। এরপরে প্যারাসিটামল কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ মত ব্যথা কমার ওষুধ খেলে, বেশ কিছু ব্যায়াম ও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সুস্থ থাকা যাবে এই শীতে। পাশাপাশি হাঁটু ব্যথা থাকলে প্রতিদিন সকালে, দুপুরে ও রাত্রে নিয়ম করে গরম সেঁক দিতে হবে।হাঁটু মুড়ে না বসার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।পাশাপাশি হাঁটুর কিছু ব্যায়াম করতে হবে হাঁটু ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে গেলে।
আরও পড়ুন: গলায় মাছের কাঁটা আটকালে কী করবেন? দলা ভাত খাওয়া ঠিক নয়! জানুন চিকিৎসকের মত
তবে শীতকালীন সময়ে হাঁটু ব্যথা হলে প্রচলিত বেশ কয়েকটি ভুল ধারণা থাকে। যাদের মধ্যে অন্যতম হাঁটু ব্যথার কারণে না হাঁটা। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ, ব্যথা বেশি হলে বিশ্রাম নিতে হবে তবে প্রতিদিন সকালে মর্নিং ওয়াক করা জরুরী। তবে এক্ষেত্রে সাধারণ অসুখ হিসেবে প্যারাসিটামলের পাশাপাশি ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। এছাড়াও এই সময় প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। তবে হাঁটু ব্যথা যদি বেশি হয় বা ওষুধ খাওয়ার আগে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খাওয়া উচিত।
রঞ্জন চন্দ