ঝাড়খণ্ডের রাঁচির টেগোর হিলের খ্যাতনামা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ভি কে পাণ্ডে বলেন, আজকাল প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটা আসলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস। আমাদের হাড়ের মাঝখানে গ্রিজের মতো পদার্থ থাকে। এই রোগের ক্ষেত্রে সেই গ্রিজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দু’টি হাড়ের একে অপরের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। যার জেরে হাড়ে মটমট শব্দ হতে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: চা বানিয়ে আনতে ১০ মিনিট দেরি, স্ত্রী’র মাথা কেটে শরীর থেকে আলাদা করল স্বামী!
তিনি আরও বলেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার ফলে হাড়ের মাঝে থাকা গ্রিজ নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। এখানেই শেষ নয়, দাঁড়িয়ে জল পান করা কিংবা ১০-২০ কিলোমিটার হাঁটার কারণেও এমনটা হতে পারে। এছাড়া ছোটবেলা থেকে জাঙ্ক ফুড খাওয়া এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েটে না থাকার ফলেও এমনটা হয়ে থাকে।
কী কী খাওয়া উচিত?
মেথি বীজ:
এই রোগে সহায়ক হতে পারে মেথি বীজ। রাতভর মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে সেটা খেতে হবে। আর মেথি ভেজানো জলও সেবন করা উচিত।
আরও পড়ুন: আলিয়ার স্বামীর সঙ্গে বিছানায় নগ্ন মেয়ে! রণবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে কী বললেন তৃপ্তির বাবা-মা?
সাদা তিল:
সাদা তিলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্য়ালসিযাম থাকে। হাড়ের রোগের ক্ষেত্রে তাই এই উপাদান মহৌষধি। গুড়ের সঙ্গে সাদা তিল মিশিয়ে লাড্ডু বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
শুকনো আদা এবং দুধ:
একটি গ্লাসে গরম দুধ নিতে হবে। তার মধ্যে একটি চামচের এক-চতুর্থাংশ শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে তাতে স্বল্প গুড় য়োগ করতে হবে। শুকনো আদার মধ্যে রয়েছে জরুরি উপাদান এবং মিনারেলস। যা হাড় মজবুত করতে সহায়ক। রাতে শোওয়ার আগে এই দুধ পান করতে হবে।
দুধ এবং খেজুর:
ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে চারটি খেজুর এবং এক মুঠো কিশমিশ মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ আধ ঘণ্টা মতো ভিজিয়ে রেখে দিয়ে তারপর পান করতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এর উপযোগিতা লাভ করতে পারবেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F