সাধারণ যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা বাঞ্ছনীয়:
জীবনযাপনের ধরন উন্নত করা, সেই সঙ্গে তার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
অতিরিক্ত ওজন যাঁদের অর্থাৎ যাঁরা ওবেসিটিতে ভুগছেন, তাঁদের ওজন কমাতে হবে। এর জন্য ওয়েট লস প্রোগ্রাম মেনে চলতে হবে। আর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুন: থাইরয়েডের কারণে ওজন বাড়ছে? নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাতে থাকুক এই সব খাবার! দুরন্ত ফল মিলবে
advertisement
অন্যান্য চিকিৎসা:
ফিজিক্যাল এজেন্ট:
হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার জন্য যে সব ফিজিক্যাল এজেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা বিবেচনা করা উচিত। এর মধ্যে পড়বে ইন্টারফেয়ারেন্সিয়াল থেরাপি, লেজার থেরাপি, ম্যাগনেটোথেরাপি, ভাইব্রেশনাল এনার্জির ব্যবহার ইত্যাদি।
শারীরিক এক্সারসাইজ সংক্রান্ত থেরাপি:
এই ধরনের এক্সারসাইজ সাধারণত ঘরেই করা যেতে পারে। যাঁদের অস্টিওআর্থ্রাইটিস রয়েছে, তাঁদের সেই রোগের চিকিৎসায় এই ধরনের ব্যায়াম খুবই কার্যকরী।
আরও পড়ুন: 'ওর ধারে কাছে কেউ ভিড়তে পারবে না', অভিষেককে কেন এমন নিশানা শুভেন্দুর? জোর জল্পনা
শারীরিক-মানসিক এক্সারসাইজ:
হঠ-যোগাসনের মতো এক্সারসাইজ শরীর ও মনের জন্য ভাল। আর অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগীদের ক্ষেত্রে এটা অনেকটা থেরাপির মতো কাজ করে।
পেশি মজবুত করার ব্যায়াম:
কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এমন কিছু পেশি মজবুত করার ব্যায়ামের মাধ্যমে কিন্তু হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা করা সম্ভব।
এরোবিক এক্সারসাইজ:
স্বল্প মেয়াদের এরোবিক এক্সারসাইজের প্রোগ্রাম পেশি মজবুত করতেও পারে, কিংবা আবার না-ও করতে পারে। এই ধরনের ব্যায়ামের মাধ্যমে হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসের রোগীদের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এরোবিক এক্সারসাইজ কিন্তু শরীরের কার্যকারিতা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতেও সহায়ক।
হাইড্রোকিনেসিথেরাপি:
অস্টিওআর্থ্রাইটিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও এই থেরাপি দারুন কার্যকর।
ব্যালেনোথেরাপি:
হাঁটুতে অস্টিওআর্থ্রাইটিস রয়েছে, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদে কার্যকরী ভাবে ব্যথা কমাতে খুবই উপযোগী এই থেরাপি।
অ্যাকিউপাংচার:
হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমানে অ্যাকিউপাংচার সম্পর্কে ভরসাযোগ্য প্রমাণ খুব কমই রয়েছে।
প্যাটেলার টেপিং:
বর্তমানে এই ধরনের রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এর সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য নথি খুবই কম রয়েছে।
ইন্ট্রা-আর্টিকুলার ইনজেকশন:
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড
কর্টিকোস্টেরয়েড
প্লেটলেট রিচ প্লাজমা
যে-সব ওষুধ কার্টিলেজের ক্ষতির পরিমাণ কমায়:
গ্লুকোস্যামিন, কনড্রইটিন
ফার্মাকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট:
ওরাল নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ
ওপিওয়ড
প্যারাসিটামল
টপিক্যাল প্রিপারেশনস
মেশিন সংক্রান্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম:
ওয়াকিং এইডস (হাঁটার লাঠি, ক্রাচ ইত্যাদি)
ব্রেসেস
ফুট অর্থোজেজ