সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয়রা ভিসা-ফ্রি ভাবে ১৪ দিন পর্যন্ত রিপাবলিক অফ কাজাখস্তানে থাকতে পারবেন। সর্বমোট প্রতি ১৮০ দিনের মধ্যে ৪২ দিনের জন্য ভিসা-মুক্ত ভাবে থাকা যাবে। এটা নিঃসন্দেহে ভারতীয়দের জন্য ভাল খবর। এতে মধ্য এশিয়ার অফবিট ওই জায়গায় ভ্রমণার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে আশা।
আরও পড়ুনঃ প্রখর রোদে বাড়ছে সানস্ট্রোকে! মুহূর্তে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? জানুন বিশেষজ্ঞদের টিপস
advertisement
কাজাখস্তানে রয়েছে বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ আকর্ষণীয় স্থান। বিশেষ করে এখানকার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য দেখবার মতো। ফলে পর্যটকদের কাছে এই দেশের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার বড় শহর হল অ্যালম্যাটি। এই শহরেই ঘটেছে আধুনিক এবং সোভিয়েত-যুগের স্থাপত্যকর্মের মিশেল। সেই সঙ্গে অ্যালম্যাটিতে দেখা মিলবে প্রাণবন্ত নগরকেন্দ্রিক জীবনযাপনের। তুর্কিস্তানের এই প্রাচীন ঐতিহাসিক শহরে রয়েছে খাজা আহমেদ ইয়াসাওয়ির সমাধি। এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটও বটে।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম হল বিশ্বের প্রথম এবং সর্ববৃহৎ মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র। বহু বছর ধরে লিজে রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল এই কেন্দ্র। কিন্তু চলতি বছরের গোড়ার দিকে এই মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ফের কাজাখস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে এসেছে।
কাজাখস্তানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটা জিনিস অবশ্যই ট্রাই করতে হবে। সেটা হল এখানকার ঐতিহ্যবাহী তাঁবু-ঘর বা ইয়র্টে থাকা। যাযাবরের মতো থাকার এই অনন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যাবে শুধুমাত্র মধ্য এশিয়াতেই। এখানেই শেষ নয়, এখানকার পরম্পরাগত ঈগল হান্টিং এবং খেলাধূলাও উপভোগ করা সম্ভব হবে। এছাড়া তিয়েন শান এবং আলতাই পর্বতমালার মতো জায়গায় হাইকিং, স্কি, ঘোড়ায় চড়া এবং ক্যাম্পিংয়ের মতো রোমাঞ্চকর অ্যাক্টিভিটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন পর্যটকরা।