সারাদিন শ্যুটিং, সিনেমার প্রচার, বিজ্ঞাপনের ব্যস্ততা – এসবের মাঝে নিজেকে কীভাবে ফিট রাখেন অভিনেতা? এর পিছনে রয়েছে নিয়মিত ওয়ার্কআউট আর স্বাস্থ্যকর ডায়েট। সুস্বাস্থ্যের জন্য এই দুটো জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ। আর এতে কোনও ফাঁকি দেন না কার্তিক আরিয়ান।
শৃঙ্খলা: যে কোনও কাজেই শৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা সবসময়ই ধারাবাহিকতা এবং শৃঙ্খলায় জোর দেন। কার্তিন আরিয়ানও এতে বিশ্বাসী। নিয়মিত শরীরচর্চায় কখনও ফাঁকি দেন না অভিনেতা। মেনে চলেন নির্দিষ্ট ডায়েট। অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া অভিনেতার ধাতে নেই।
advertisement
নিরামিষাশী ডায়েট: কার্তিক আরিয়ান বিশুদ্ধ নিরামিষাশী। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। মাছ-মাংস-ডিম ছুঁয়েও দেখেন না। শাকসবজি থেকেই পুষ্টির চাহিদা মেটান। চারবেলাই তাঁর পাতে থাকে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। ২০১৮-য় কার্তিককে ভারতের হটেস্ট ভেজিটেরিয়ানের তকমা দিয়েছে PETA।
আরও পড়ুন : মেনোপজের পর এভাবে যত্ন নিন, ত্বক থাকবে তরুণীর মতো কোমল আর তুলতুলে!
পছন্দের পানীয়: অনেকেরই কাজের ফাঁকে ঘনঘন চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস। কার্তিকও ব্যতিক্রম নন। তবে ঘনঘন নয়, সারাদিনে মাত্র এক কাপ ব্যস। তবে সাধারণ চা বা কফি নয়, দিনে একবারই এক কাপ গ্রিন টি খান অভিনেতা।
সকালের প্রথম কাজ: ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খালি পেটে ঈষদুষ্ণ গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খান। এটা বহু প্রাচীন ঘরোয়া টোটকা। কার্তিকও এই টোটকা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন। এটা শুধু ওজন কমাতে সাহায্য করে তাই নয়, মেটাবলিজম বাড়ায়।
মধ্যাহ্নভোজের সময়: কার্তিক একবারে ভরপেট খাবার খান না। অল্প অল্প খাবার ঘনঘন খান। ওজন কমানোর ডায়েটে ইদানীং এই ডায়েটই ট্রেন্ডিং। শুধু কার্তিক নয়, অনেক বলিউড অভিনেতাই এই ডায়েট প্যাটার্ন অনুসরণ করেন।
আরও পড়ুন : ফিল্টার্ড ওয়াটার না কি ফোটানো জল? শরীরের জন্য কোনটা ভাল?
ঘাম ঝরাতে হবে: বিভিন্ন রকম ওয়ার্কআউট তো আছেই। তবে পুশআপ এবং স্কিপিং কখনও বাদ দেন না কার্তিক আরিয়ান। একটি সাক্ষাৎকারে ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ (Bhool Bhulaiyaa 2) খ্যাত তারকা বলেছিলেন, তিনি প্রতিদিন ২০০ পুশআপ এবং ৫০০ স্কিপিং করেন।
অন্যান্য ওয়ার্কআউট: পুশআপ আর স্কিপিং তো আছেই, এছাড়া জিমে মাউন্টেন ক্লাইম্বিং, লেগ ক্রাঞ্চেস, লেগ রাইজ, ক্রাঞ্চেস উইথ দ্য বল এবং ক্রাঞ্চেস উইথ ওয়েট করেন নিয়মিত। কার্তিক মনে করেন, ফিটনেসই জীবন। তাই সারাদিন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলে রাতে ফিরেও জিমে ছোটেন অভিনেতা।