কপিল শর্মা কীভাবে ওজন ঝরালেন?
ইউটিউব চ্যানেল GunjanShouts-এ গত ৬ এপ্রিল শেয়ার করা একটি ভিডিও-য় কপিল শর্মার ওজন ঝরানোর প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন ফিটনেস ট্রেনার যোগেশ। জোরের সঙ্গে তিনি জানান যে, যখন কেউ ফিটনেস নিয়ে ভাবেন না, তখন তাঁরা সাধারণত সেই জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন না। যোগেশ আরও বলেন যে, ভারতীয় পরিবারগুলিতে সাধারণ ভাবে জলখাবার হিসেবে খাওয়া হয় পাঁউরুটি, মাখন, চা, সমোসা বা শিঙাড়া, ধোকলা অথবা পরোটা। এর পাশাপাশি আমরা যখন বাড়ির বাইরে কোথাও যাই, তখন আমরা কিছু না ভাবনাচিন্তা করেই যা ইচ্ছা খেয়ে নিই।
advertisement
৮ বছর পর বাবার রেনকোট পরতে গিয়ে পকেটে হাত, এ কী… যা বেরোল, তা স্বপ্নেও ভাবেননি ছেলে!
তিনি আরও বলেন যে, কিন্তু যখন আমরা কী খাচ্ছি, তা নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করি এবং আমাদের জীবনযাত্রার ধরন বদলে যায়, তখন আমরা জল পান, আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন বা ব্রিদিং প্যাটার্ন এবং আরও অনেক কিছু পর্যবেক্ষণ করে থাকি। এই প্রথম কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করার পরে যে বিষয়গুলি পরিবর্তন হতে শুরু করে, সেগুলিই একজনকে উপযুক্ত করে তোলে এবং সেখান থেকেই ট্রান্সফর্মেশন শুরু হয়।
ওই ফিটনেস কোচ জোর দিয়ে বলেন যে, হয়তো শারীরিক ভাবে নয়, কিন্তু শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তো বটেই। সেখানেই আরও বেশি করে এগোতে শুরু করতে হবে… আর এটাই আমি করেছি কপিলের ওজন ঝরানোর সফরে। আবার যখন কমেডি তারকা ধীর গতিতে এগোতে চেয়েছেন, তখন যোগেশ তাঁকে স্ট্রেচিং করিয়েছেন। শারীরিক সহ্যের সীমা অতিক্রম না করে কসরতের উপর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা মনে রাখা আবশ্যক। ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন যে, মানুষ জিমে গিয়ে নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করে। আর সেখানেই কিন্তু তাঁদের পরাজয় হয়। আসলে কীভাবে এগোতে হবে, তার পরিকল্পনা আগে থেকে করা হয় না। তারপরেই মনে হয় যে, ওয়ার্ক আউট করা খুবই কঠিন।
‘২১ ২১ ২১’-এর নীতি:
প্রথম ২১ দিন: কসরত
যোগেশের মতে, শারীরিক কসরতের উপর নজর দিতে হবে প্রথম ২১ দিন। নিজের শরীরের পেশি সঞ্চালন করতে হবে। শুধুমাত্র স্ট্রেচিং করতে হবে। এই সময় ডায়েট কন্ট্রোল বা মডিফিকেশন করার প্রয়োজন নেই। যত ইচ্ছা জিলিপি এই সময় খাওয়া যেতে পারে।
পরের ২১ দিন: ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
যোগেশের পরামর্শ, ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। কার্বোহাইড্রেট বা ক্যালোরি কমানোর কথা বলা হচ্ছে না। এটাই সঠিক পদক্ষেপ। শুধু একটু মডিফাই করতে হবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন যে, ভারতীয়রা রাতে দুধ পান করেন। কিন্তু এতে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং অনিদ্রার সমস্যা আসে। এর পরিবর্তে বরং সকালে দুধ পান করা উচিত।
তারপরের ২১ দিন: ধূমপান, মদ্যপান এবং ক্যাফিন সেবনে রাশ
ফিটনেস কোচ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি জানান যে, মদ্যপান, ধূমপান কিংবা কফি পানের মতো বিষয়গুলি বন্ধ করতে হবে।