প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হিমাচল প্রদেশ তার সৌন্দর্যের জন্য শুধু ভারত নয়, প্রায় সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এখানে পাওয়া ঔষধি ফুল, পাতা এবং ভেষজগুলির সব সময়েই একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা রয়েছে। এ হেন হিমাচল প্রদেশের জঙ্গলে জন্মায় কাচনার গাছ, যার ফুল ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। এই কাচনার ফুলই বাংলায় কাঞ্চন ফুল নামে সুপরিচিত। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল বোহিনিয়া ভারিগেটা। এই পাহাড়ি স্থানীয় ফুল খুবই আশ্চর্যজনক! এটি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক, সঙ্গত কারণেই তা ইউনানি ও চিনা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হিমাচল প্রদেশের এই আশ্চর্যজনক কাঞ্চন ফুলের বিভিন্ন গুণাবলী।
advertisement
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসরের মতে, এই উদ্ভিদটি আয়ুর্বেদ, সিদ্ধ, ইউনানি এবং ঐতিহ্যবাহী চিনা ওষুধে ডায়াবেটিস, প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট এবং চর্মরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে শুধুই তো আর ঔষধিগুণ নয়, এই বিষয় ছাড়াও বোহিনিয়া ভারিগেটা বা কাঞ্চন ফুলের আরও অনেক গুরুত্বও রয়েছে। হিমাচল অঞ্চলে এটি এক ঐতিহ্যবাহী সবজি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই গাছটি দেখতে খুবই সুন্দর হয়। এর ফুলের সৌন্দর্য আলাদা করে নজর কেড়ে নেয়। এর ফুল ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই নীলষষ্ঠী! ভুলেও মুখে দেবেন না এই খাবার! সন্তানের মঙ্গলকামনায় করুন এই বিশেষ কাজ
অন্য দিকে আবার লোককাহিনি, পৌরাণিক কাহিনী এবং স্থানীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে বোহিনিয়া ভারিগেটা উদ্ভিদের যোগসূত্র এর সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। আমাদের দেশে এই ফুল মা লক্ষ্মী এবং মা সরস্বতীকে নিবেদন করা হয়। এই কারণেও এই ফুলের চাহিদা অনেক বেশি।
বাইনজঠের গ্রামীণ মহিলা হরি দেবী লোকাল 18-কে বলেন যে, তিনি কয়েক বছর ধরে কাচনারের সবজি তৈরি করছেন। এটি পাহাড়ে প্রচলিত একটি স্থানীয় সবজি, যার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তিনি আরও জানান, ঔষধি গুণে ভরপুর এই সবজিটি খেতেও বেশ সুস্বাদু। অর্থাৎ এর ফুল থেকে শুরু করে গাছের অন্য অংশ, প্রায় সব কিছুই আমাদের কোনও না কোনও কাজে লাগে!