মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন কালো জিরে ৷ রোজ সকালে উষ্ণ জল, লেবুর রস, মধুর সঙ্গে মেশান এক চিমটে কালোজিরে গুঁড়ো ৷ তার পর খালি পেটে পান করুন ওই মিশ্রণ ৷ বাড়তি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই মিশ্রণ খুবই কার্যকর ৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় এই মিশ্রণ নিত্য সেবনে ৷ পাশাপাশি, গাঁটের ব্যথা উপশমেও কালো জিরে উপকারী ৷ সর্ষের তেলের সঙ্গে একমুঠো কালো জিরে গরম করে নিন ৷ ধোঁয়া বার হতে শুরু করলে নামিয়ে নিন মিশ্রণটি ৷ তার পর আঙুল ডুবিয়ে দেখে নিন সহনীয় হয়েছে কিনা ৷ এর পর মিশ্রণটি দিয়ে মালিশ করুন যন্ত্রণাবিদ্ধ ফোলা গাঁটের অংশে ৷
advertisement
এছাড়া কিডনি স্টোন উপশমের ক্ষেত্রেও কালো জিরে ফলপ্রসূ৷ ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে হাফ চামচ কালোজিরের তেল, ২ চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে রোজ পান করলে কিডনির পক্ষে স্বাস্থ্যকর ৷ দাঁত ও মাড়ি ভাল রাখার জন্য টক দইয়ের সঙ্গে কালোজিরে মিশিয়ে তা দিয়ে মালিশ করার টোটকা প্রচলিত অনেক ক্ষেত্রেই ৷ ফুটন্ত জলে কালো জিরের তেল বা কালো জিরে দিয়ে সেই ভাপ গ্রহণ করুন ৷ বন্ধ নাক এবং সাইনাসের সমস্যার ক্ষেত্রে এটা ঘরোয়া টোটকার কাজ করে ৷
আরও পড়ুন : সাদা না বাদামি-কোন পাউরুটি বেশি উপকারী? কোনটাই বা শরীরের জন্য ক্ষতিকর? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
কেনার সময় কালো জিরের রং অবশ্যই দেখে নেবেন ৷ গাঢ় কালো রং দেখে কিনবেন ৷ ফ্যাকাসে রং হলে বুঝবেন মশলাটি পুরনো ৷ অন্যান্য মশলার মতো কালো জিরেও রাখবেন এয়ারটাইট কৌটোয় ৷ জল তো দূর অস্ত্, আর্দ্রতাও যেন স্পর্শ না করে কালো জিরেকে ৷ খুব প্রয়োজন না হলে কালো জিরে বেশি পরিমাণে কিনবেন না ৷ অল্প পরিমাণে কিনুন ৷ তাহলে ভাল করে রাখতে পারবেন ৷ মশলার গুণও বজায় থাকবে দীর্ঘ দিন ৷ ফুটন্ত জলে কালো জিরের তেল বা কালো জিরে দিয়ে সেই ভাপ গ্রহণ করুন ৷ বন্ধ নাক এবং সাইনাসের সমস্যার ক্ষেত্রে এটা ঘরোয়া টোটকার কাজ করে ৷
রূপচর্চাতেও কালো জিরের ভূমিকা অনেক। লেবুর রসের সঙ্গে কালো জিরের পেস্ট মিশিয়ে নিন ৷ ব্রণর দাগ তোলার জন্য এই মিশ্রণ খুব কার্যকর ৷