TRENDING:

Kalipuja 2024: মন থেকে ডাকলে মা খালি হাতে ফেরান না! এখনও মুঘল আমলের পুজো হয় বর্ধমানের এই গ্রামে

Last Updated:

Kalipuja 2024: পূর্ব বর্ধমান জেলার নলাহাটি গ্রামে মা কালীর ঘট ছাড়াই পুজো হয়৷ পঞ্চমুণ্ডি আসনে মা কালীকে বসিয়ে পুজো শুরু হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার নলাহাটি গ্রামে মা কালীর ঘট ছাড়াই পুজো হয়৷ পঞ্চমুণ্ডি আসনে মা কালীকে বসিয়ে পুজো শুরু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে এই পুজো হয়ে আসছে৷ এ ছাড়াও এই পুজোয় রয়েছে নানা পুরানো নিয়ম রীতি। পুজোকে কেন্দ্র করে নলহাটি-সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের আবেগও জড়িয়ে রয়েছে পুজোর সঙ্গে। বর্তমানে চট্টোপাধ্যায়, ভট্টাচার্য, বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায়, পরিবারের সদস্যরা এই পুজো পরিচালনা করে আসছেন। পুজো প্রসঙ্গে সম্পদ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “সম্রাট আকবরের সময়কালের একজন সাধক তার নাম ছিল কালিপদ বাগিস। তিনি এখানে পুজো শুরু করেন। এই পুজোর বিশেষত্ব হচ্ছে অন্যান্য কালী পুজোয় যে ঘট থাকে এখানে কোনও ঘট নেই। এখানে পঞ্চমুণ্ডির আসন আছে।”
advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে মা কালীর প্রতিমা ১৫ দিন ধরে তৈরি করা হয়। তবে পুজোর আগের দিনেই শুধুমাত্র প্রতিমার গায়ে রঙ দেওয়া হয়। যিনি প্রতিমার গায়ে রঙ করেন অর্থাৎ পালকে উপোস করে রঙ করতে হয়। নহবতের সুরে ভোরবেলায় হয় চক্ষুদান। পুজোয় রয়েছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। পুজোর দিন সকালে গ্রামের সধবা মহিলারা সিঁদুর, আলতা, পান, সুপারি-সহ নানা উপকরণ দিয়ে পুজো দেন মা কালীকে। এই পুজো হতে হতে প্রায় দুপুর ৩ টে বেজে যায়। তারপরেই নহবতের সুর এবং ঢাকের তালে চলে সিঁদুর খেলা। পরবর্তীতে সন্ধ্যা বেলায় হয় ধুনো পোড়ানো।

advertisement

আরও পড়ুন: এখানে গেলেই গা ছমছম করবে! অট্টহাসের জঙ্গলেই রয়েছেন রঘু ডাকাতের মা কালী

এরপর মা কালীকে তোলা হয় মন্দিরের গর্ভগৃহের আসনে। সেখানে বিভিন্ন অলংকার এবং সাজ দিয়ে মা কালীকে সাজিয়ে তোলেন ব্রাহ্মণ।তবে অমাবস্যা পড়ার পর থেকেই পুজো শুরু হলেও পুজো চলে বিসর্জনের দিন সকাল পর্যন্ত।সম্পদ মুখোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, “এখানে ক্ষীরের মোষও বলিদান হয়। পুজোর পরের দিন বিকেল নাগাদ পিতলের ঘটি কাড়াকাড়ি খেলা হয়। তারপর স্থানীয় দোকানদারদের বিক্রি বাটার খোঁজ খবর নিয়ে, সন্ধ্যা আটটা নাগাদ নিরঞ্জনের  জন্য মাকে বের করা হয়। “

advertisement

View More

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মা কালীকে গাড়ি অথবা কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই বিসর্জনের দিন বাঁশ দিয়ে প্রতিমাকে টানতে টানতে মন্দির থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে বিসর্জন করা হয়। এই গ্রামে মা কালীর নিত্যসেবা হয়। তাই বিসর্জনের পরে মূল মন্দিরে আবার নিত্যপুজো হয়৷ নলাহাটির মা কালীকে নিয়ে ঘিরে অনেকের বহু বিশ্বাস রয়েছে৷ গ্রামবাসীদের মতে মাকে ডাকলে কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় না। শুধুমাত্র এই গ্রাম নয়, আশেপাশের আরও বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠেন এই পুজোকে ঘিরে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দুর্গাপুজোর পর দূষণ ঠেকাতে পৌরসভা তৎপর, দেওয়া হয়েছে বড়সড় সরকারি নির্দেশ
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Kalipuja 2024: মন থেকে ডাকলে মা খালি হাতে ফেরান না! এখনও মুঘল আমলের পুজো হয় বর্ধমানের এই গ্রামে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল