পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে মা কালীর প্রতিমা ১৫ দিন ধরে তৈরি করা হয়। তবে পুজোর আগের দিনেই শুধুমাত্র প্রতিমার গায়ে রঙ দেওয়া হয়। যিনি প্রতিমার গায়ে রঙ করেন অর্থাৎ পালকে উপোস করে রঙ করতে হয়। নহবতের সুরে ভোরবেলায় হয় চক্ষুদান। পুজোয় রয়েছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। পুজোর দিন সকালে গ্রামের সধবা মহিলারা সিঁদুর, আলতা, পান, সুপারি-সহ নানা উপকরণ দিয়ে পুজো দেন মা কালীকে। এই পুজো হতে হতে প্রায় দুপুর ৩ টে বেজে যায়। তারপরেই নহবতের সুর এবং ঢাকের তালে চলে সিঁদুর খেলা। পরবর্তীতে সন্ধ্যা বেলায় হয় ধুনো পোড়ানো।
advertisement
আরও পড়ুন: এখানে গেলেই গা ছমছম করবে! অট্টহাসের জঙ্গলেই রয়েছেন রঘু ডাকাতের মা কালী
এরপর মা কালীকে তোলা হয় মন্দিরের গর্ভগৃহের আসনে। সেখানে বিভিন্ন অলংকার এবং সাজ দিয়ে মা কালীকে সাজিয়ে তোলেন ব্রাহ্মণ।তবে অমাবস্যা পড়ার পর থেকেই পুজো শুরু হলেও পুজো চলে বিসর্জনের দিন সকাল পর্যন্ত।সম্পদ মুখোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, “এখানে ক্ষীরের মোষও বলিদান হয়। পুজোর পরের দিন বিকেল নাগাদ পিতলের ঘটি কাড়াকাড়ি খেলা হয়। তারপর স্থানীয় দোকানদারদের বিক্রি বাটার খোঁজ খবর নিয়ে, সন্ধ্যা আটটা নাগাদ নিরঞ্জনের জন্য মাকে বের করা হয়। “
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মা কালীকে গাড়ি অথবা কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই বিসর্জনের দিন বাঁশ দিয়ে প্রতিমাকে টানতে টানতে মন্দির থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে বিসর্জন করা হয়। এই গ্রামে মা কালীর নিত্যসেবা হয়। তাই বিসর্জনের পরে মূল মন্দিরে আবার নিত্যপুজো হয়৷ নলাহাটির মা কালীকে নিয়ে ঘিরে অনেকের বহু বিশ্বাস রয়েছে৷ গ্রামবাসীদের মতে মাকে ডাকলে কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় না। শুধুমাত্র এই গ্রাম নয়, আশেপাশের আরও বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠেন এই পুজোকে ঘিরে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী