পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ১ ব্লকের পালপাড়া গ্রামটি সম্পূর্ণ কৃষিনির্ভর। স্থানীয়রা মূলত পান চাষের সঙ্গে যুক্ত। এলাকাবাসীদের মতে, প্রায় তিনশো বছর আগে এই গ্রামে পানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে শুরু হয়েছিল জোড়া কালী পুজো। স্থানীয়দের একাংশের বিশ্বাস, সেই সময় এলাকায় কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল। মহামারী থেকে গ্রামকে রক্ষা করতেই এই পুজোর সূচনা হয়। যদিও পুজোর সঠিক ইতিহাস আজও স্পষ্ট নয়, তবে দীর্ঘ তিন শতাব্দী ধরে অটুট রয়েছে এই ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের পুজো।
advertisement
জোড়া কালী পুজোয় রয়েছে অনেক নিয়ম রীতি। এখানে কোনও পশুবলি দেওয়া হয় না। ভক্তরা তাঁদের মনস্কামনা পূরণ হলে ‘পাঠা ছাড়া’ দেন, অর্থাৎ জীবন্ত পাঠা মন্দিরে এনে মুক্ত করে দেন । পুজোর সমস্ত রীতিনীতি এখনও প্রাচীন পদ্ধতি মেনে হয়। গ্রামের পুরোহিত পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই পুজো পরিচালনা করছেন।
কালীপুজোর আগের দিন থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। মন্দির চত্বর আলোয় ঝলমল করে ওঠে। গ্রামের মহিলারা একত্রে বসে প্রসাদের নাড়ু, চিঁড়ে,মুড়ি প্রস্তুত করেন। দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। ভক্তদের ভিড় সামলাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয় কয়েকশো পুলিশকর্মী। ভক্তদের গান, ঢাকের আওয়াজ, ধূপ-ধুনোর গন্ধে মন্দির চত্বর মাতোয়ারা।