জ্বালার স্বামী বিষ্ণু বিশাল তাঁদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীতে (২২ এপ্রিল) সন্তানের আগমনের খবর জানান। তিনি নবজাতকের হাতের একটি ছবি শেয়ার করেন। আরও একটি ছবিতে, তাঁদের বড় ছেলেকে তার বোনের সঙ্গে দেখা করতে দেখা যায়। ছবিগুলি শেয়ার করে বিষ্ণু বিশাল লিখেছেন, ‘আমরা এক কন্যাসন্তানের আশীর্বাদ পেয়েছি…আরিয়ান এখন একজন বড় ভাই…আজ আমাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী… একই দিনে আমরা সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে এই উপহারকে স্বাগত জানাই… আপনাদের সকলের ভালবাসা এবং আশীর্বাদ প্রয়োজন।’
advertisement
কয়েক মাস আগে, বিষ্ণু বিশাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে জ্বালা তাঁর আইভিএফ চিকিৎসার জন্য লড়াই করছেন। তাঁকে নিজের মুম্বইয়ের বাড়িতে এনে রেখেছিলেন আমির খান। প্রায় ১০ মাস সেখানেই ছিলেন জ্বালা। আমিরের এমন ব্যবহারে মুগ্ধ বিষ্ণুও। বিষ্ণু-জ্বালার শিশুকন্যার নাম রাখা হয়েছে মীরা। নামকরণ করেছেন আমির। ২০২১ সালের এপ্রিলে বিয়ে করেছিলেন বিষ্ণু-জ্বালা। তার চার বছর পরে তাঁদের কোলে এসেছে সন্তান। যদিও সন্তানজন্মের প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারণ করেন জ্বালা। তাঁর বয়স ৪০ এর বেশি হয়ে যাওয়ার ফলে জটিলতা দেখা দেয়। একাধিক বার চেষ্টা করেও সম্ভব হচ্ছিল না গর্ভধারণ। শেষমেশ আমিরই নাকি তাঁদের হায়দরাবাদ ছেড়ে মুম্বই চলে আসার পরামর্শ দেন। জ্বালার স্বামী বলেন, ‘‘গত দু’ বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু জ্বালার বয়স প্রায় ৪১ বছর হওয়ায় পাঁচ-ছয় বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই আমরা। জ্বালাও প্রায় হাল ছেড়ে দেয়। তখন আমির বলেন, সব ছেড়ে মুম্বই এসো।”
আরও পড়ুন : লেবু, চিনি, হলুদের কামাল! ১ মিনিটে বন্ধ হবে হেঁচকি তোলা! জানুন সেরা টোটকা!
সেখানেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে শুরু করেন জ্বালা। প্রায় ১০ মাস আমিরের বাড়িতে ছিলেন। বিষ্ণু জানিয়েছেন, এই পর্বে আমির তাঁদের খেয়াল রেখেছেন। পারিবারিক আবহেই তাঁরা ছিলেন অভিনেতার বাড়িতে। বিষ্ণু আরও লেখেন, ‘অবশেষে, দুই থেকে তিনটি আইভিএফ চক্রের পর, জ্বালা গর্ভবতী হয়ে পড়ে, এবং ঠিক সেই সময় যখন আমরা জানতে পারি, আমির স্যারকে বলেছিলাম যে তিনি সন্তানের নাম রাখবেন। যদি তিনি না থাকতেন, তাহলে আমরা মীরাকে জন্ম দিতে পারতাম না। এই কারণেই জ্বালা অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় কাঁদছিলেন৷’ প্রসঙ্গত বিষ্ণুর বড় ছেলে আরিয়ান তাঁর আগের স্ত্রীর সন্তান।