সাধারণত কাঁধের জয়েন্ট বা সংযোগস্থল শক্ত হয়ে গেলে সেই অবস্থাকে বলা হয় ফ্রোজেন শোল্ডার। এ অবস্থায় জয়েন্টের মধ্যকার সাইনোভিয়োল ফ্লুইড নামক এক ধরনের তরল পদার্থ কমে যেতে থাকে। ফলে শোল্ডার জয়েন্ট ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায়। সাধারণত, হাতের সঙ্গের ঘাড়ের জয়েন্টে ব্যথা, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, জয়েন্ট নাড়ানোর ক্ষমতা কমে যাওয়া, আক্রান্ত পাশে শুতে না পারা, হাতে দুর্বলতা চলে আসা ইত্যাদি ফ্রোজেন শোল্ডারের লক্ষণ। এই সমস্যাগুলো হঠাৎ একদিনে শুরু হতে পারে আবার কাঁধে সামান্য ব্যথা পাওয়ার পরও শুরু হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন- সকাল সকাল খালি পেটে এই ভুল একদমই করবেন না! ভয়ঙ্কর রোগের চক্রব্যূহে আটকে পড়বেন অচিরেই
চিকিৎসকরা বলেন, ঘাড় এবং কাঁধে ব্যথা আরও গুরুতর সমস্যার একটি উপসর্গ মাত্র। তাই ব্যাথা না কমলে অবশ্যই পরীক্ষা করা উচিত। যদি বাহু বা হাত অসাড় হয়ে যায় বা হাতের শক্তি কমে যায় সঙ্গে তীব্র ব্যাথা হয় এবং কোনও উপশম ছাড়াই তা যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ব্যথা যদি হাতের নিচের দিকে যায়, এবং কাঁধের ব্যথার সঙ্গে লালভাব বা ফোলাভাব থাকে তাহলেও ফেলে রাখা ঠিক নয়। কাঁধের ব্যথা অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘কাঁধের ব্যথাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। ব্যথা যদি বুকে নেমে যায় এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তাহলে তা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন- খাবার পরেই আঙুলে, নখে হলুদের ছোপ পড়ে যায়? রইল দাগ দূর করার ৬টি কার্যকরী উপায়
এজন্য লাইফস্টাইলের পরিবর্তন খুব জরুরি। ফল, শাকসবজি, বাদাম, বীজ এবং প্রোটিওলাইটিক এনজাইম এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার ব্যথা-বেদনা দূরে রাখে। তাছাড়া নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ এবং যোগব্যায়াম করারও পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া ঘুমনোর ভঙ্গী নিয়েও সচেতন হতে বলা হয়। যে দিকে ব্যথা থাকে সেদিকে পাশ ঘিরে ঘুমোতে নিষেধ করা হয়। আক্রান্ত হাতের নিচে বালিশ রাখলে আরাম মেলে। চিত হয়ে বুকের উপর হাত রেখে ঘুমোনোই সবথেকে ভালো ভঙ্গী বলে মনে করা হয়।