ইনি এক সময় মানিকপাড়া থেকে ঝাড়গ্রামের পেপার মিলে এসেছিলেন চাকরির জন্য। চাকরি করেও তাঁর পছন্দ ছিল ব্যবসা। আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি ব্যবসার শুরু করেন। তখন তিনি এক টাকায় ঘুগনি বিক্রি করতেন। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ধীরে ধীরে এর দাম বেড়ে ১০ টাকা হয়েছে। কিন্তু ভিড় কমেনি। ঠেলায় করে দোকান আনার অপেক্ষায় থাকে ঝাড়গ্রামবাসী।
advertisement
ঘুগনি ছাড়াও পাওয়া যায় একাধিক চটপটে খাবার। প্রথমে ইনি ফুচকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন তারপর আস্তে আস্তে মেনুতে যোগ হয় ঘুগনি, পাঁপড়, চটপটি, সহ নানা আইটেম। বংশীদা বলেন ‘‘ আগে চাহিদা আরও বেশি ছিল, তখন দামও কম ছিল, এখন সব জিনিসের দাম বেড়েছে তাই আমাকেও জিনিসের দাম বাড়াতে হয়েছে। এখন বর্ষাকালে লোকজনের সংখ্যা একটু কম। গ্রীষ্ম ও শীতকালের সময় ঘুগনির অনেক বেশি চাহিদা থাকে।’’
ঝাড়গ্রামে এসেছেন আর বংশীদা’র ঘুগনি খাননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। কারণ দোকান শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বড় বড় তিন হাড়ি ঘুগনি শেষ হয়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর ধরে সে এই কাজ করে চলেছেন তিনি। ঘুগনি বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন বংশীদা’।