বিভিন্ন গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে, গুড়কে রীতিমতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির খনি বলা চলে। গুড়ে কার্বোহাইড্রেট ,প্রোটিন, কোলিন, বিটাইয়ানন, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সেলিনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কোনওভাবে ফ্যাট জাতীয় কোনও উপাদান থাকে না। যার ফলে, গুড় উপকারী বলছেন সবাই।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, আখের রস থেকে চিনি হয়। আখের রসকে নানা উপায়ে শোধন করে তৈরি করা হয়। যার ফলে চিনিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। কিন্তু খনিজ থেকে আরম্ভ করে অন্যান্য উপাদান চিনিতে প্রায় নেই বললেই চলে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গুড় হচ্ছে উদ্ভিদজাত এমন একটি খাদ্য, যা থেকে সরাসরি আমাদের দেহে প্রয়োজনের ১০% আয়রন জোগান পায়। যার ফলে, গুড় খেলে শরীরে ক্লান্তি ভাব অনেকটা কেটে যায়।
advertisement
এছাড়াও গুড়ে থাকে ক্যালসিয়াম। যা মানব দেহে অস্থির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও গুড় রক্ত পরিস্রুত করতে সাহায্য করে। জন্ডিসের পক্ষেও গুড় খুবই উপকারী। এই ধরনের খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক থাকে, বলে শরীরের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: কুকুরের লেজ সোজা হয় না কেন? আসল কারণটা জানেন…উত্তর কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে অতীতে
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, ‘‘চিনি অতিরিক্ত সেবনে মানুষের শরীরে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে, এছাড়াও শরীরে ক্যালোরি বেড়ে গেলে নানা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে তুলনায় গুড় সাধারণ মানুষের শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। শুধু মিষ্টি বা ক্যালোরি থাকে না ,গুড়ে নানা ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। যা মানব দেহের উপকারে কাজে লাগে। তবে মানুষের চিনির থেকে মিষ্টির জন্য, গুড়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’’