Cyclonic Circulation Update IMD: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, আরব সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ...এই সব জেলায় নতুন বছরের শুরুতেই বৃষ্টি! কেমন থাকবে কলকাতার ওয়েদার?
- Written by:BISWAJIT SAHA
- Published by:Satabdi Adhikary
Last Updated:
সিকিমে তুষারপাতের প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিংয়ের উঁচু পার্বত্য এলাকায়। শনিবার নতুন করে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা, উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এই পশ্চিমি ঝঞ্ঝা পাস করার সময় রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে আরও এক দফায় হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিম এবং দার্জিলিংয়ের খুব উঁচু এলাকায়।
advertisement
বর্ষবরণে দিনের বেলায় কার্যত শীত উধাও। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাঁকিয়ে শীতের কোনও সম্ভাবনাই নেই। সকাল সন্ধ্যা শীতের আমেজ থাকলেও দিনের বেলায় লাগবে না ঠান্ডা। বুধবারের পর থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন দক্ষিণবঙ্গে। তাপমাত্রা বাড়বে; বাতাসে বাড়বে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। শুক্র ও শনিবার মেঘলা আকাশ। হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা পশ্চিমের জেলাগুলিতে।
advertisement
আরব সাগরে নিম্নচাপ শক্তি বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর উপকূল এ ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে নিম্নচাপ আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। বাংলাদেশ ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। দক্ষিণ ভারতে উত্তর-পূর্ব হাওয়ার প্রভাব। বর্ষ শেষে নতুন করে বৃষ্টির স্পেল।
advertisement
advertisement
সকালে ও সন্ধ্যায় হালকা শীতের আমেজ থাকলেও দিনের বেলায় শীত কার্যত উধাও। স্বাভাবিকের দুই থেকে চার ডিগ্রি উপরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। খুব সকালে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে কিছু কিছু জায়গায়। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার দাপট। কুয়াশা কেটে গেলে মূলত পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা। বাংলাদেশের উপকূলে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত। এর ফলে পূবালি হাওয়ার দাপট বাড়ছে। কমেছে উত্তর-পশ্চিমি শীতল হাওয়ার প্রভাব।
advertisement
বৃষ্টি ও বরফেই বর্ষবরণ উত্তরবঙ্গে। নতুন বছরের শুরুতে বৃষ্টি ও হালকা তুষারপাতের সামান্য সম্ভাবনা দার্জিলিঙে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাল্কা তুষারপাত হতে পারে সান্দাকফু সহ দার্জিলিংয়ের উঁচু পার্বত্য এলাকায়। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পাহাড়ি এলাকায়। রবিবার থেকে মঙ্গলবার এর মধ্যে এই বৃষ্টি ও তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের অনেকটাই উপরে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৯ থেকে ৯৬ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ১৭ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
advertisement
কোল্ড ডে পরিস্থিতি উত্তর-পশ্চিমের সমতল এলাকায়। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে আগামী দুদিন কোল্ড ডে পরিস্থিতি। ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা সতর্কতা, পাঞ্জাব, হরিয়াণা এবং উত্তরপ্রদেশে। ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা ওড়িশা ঝাড়খণ্ডেও। অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, উত্তর -পূর্ব ভারতের এই রাজ্যগুলিতে কুয়াশার দাপট থাকবে।
advertisement
পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে ঘূর্ণাবর্ত রাজস্থানে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা। বর্ষশেষে ভিজবে দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর পশ্চিম ভারত। বর্ষবরণের দিনেও বৃষ্টির আশঙ্কা। উত্তর পূবালি হাওয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণ ভারতে। তামিলনাডু কেরল এবং মাহেতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্যদিকে বর্ষশেষের পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব উত্তর-পশ্চিম ভারতে। বৃষ্টি ও তুষারপাতের আশঙ্কা। পূবালি হওয়ার কারণে বর্ষশেষে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে, ছত্তিশগড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বর্ষ শেষ ও বর্ষবরণে তাপমাত্রা বাড়তে পারে মধ্য ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে। দু থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রাতে বাড়তে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।









