কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, ইংরেজ ও ফরাসিদের ছাউনি ছিল ভদ্রেশ্বর গৌর হাটি এলাকায়। সেই সময় নিরাপত্তার কারণে বাড়ির মহিলারা বাড়ি থেকে বের হতেন না । তাদের অন্দর মহলেই রাখা হত। তাই তৎকালীন সময়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর আচার অনুষ্ঠান পুরুষরাই সামলাতেন। এমনকী, পরিবারের মহিলারা যে ভাবে বাড়ির ঠাকুরকে বরণ করেন, সেভাবেই পুরুষরা এখানে বরণ করেন। মহিলাদের মতোই শাড়ি পরে মাথায় সিঁদুর লাগিয়ে আজও তারা বরণ ডালা নিয়ে বরণ করেন। তার পর রীতি মেনেই শোভাযাত্রা বের করে প্রতি বছর গঙ্গায় ভাসান দেওয়া হয়। মন্দিরের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নেই ।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা-পুরুলিয়া SBSTC বাস বড় দুর্ঘটনার কবলে! আহত ২০, মৃত ২, ভয়াবহ অবস্থা! জানুন
তেঁতুলতলা বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির ২৩২ বছরের আগে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের দেওয়ান দাতারাম সুর গৌর হাটিতে বাস করতেন। তিনি রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের অনুমতি নিয়ে দুই বিধবা কন্যাদেরকে নিয়ে নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো করেন। কালের নিয়ে সেই পুজো থমকে যায়। আর সেই জগদ্ধাত্রী চলে আছে তেঁতুল তলা বারোয়ারি নামে। ইংরেজ শাসন কালেই এই অঞ্চলে জঙ্গলে ভরা ছিল। মহিলারা বাড়ির অন্দরে থাকতেন। এই এলাকা গুলিতে গোড়া সৈনিক থাকার কারণে নিরাপত্তা অভাব সব সময় থেকেই যেত। মহিলাদের উপর অত্যাচারের কারণে তারাও আর বাড়ি থেকে বেরতেন না। তাই সেই পরিস্থিতিতে কয়েকশো বছর ধরে চলে আসা পুরুষদের দিয়েই বরণের প্রচলন আজও চলে আসছে।
রাহী হালদার