কৈশোরে মেয়েদের শরীরে যে পরিবর্তনগুলি দেখা যায়—
— জননাঙ্গ ও বগলে লোম গজানো
— হঠাৎ করে উচ্চতা দ্রুত বাড়া
— শরীরের গঠনে পরিবর্তন, নিতম্ব চওড়া, ভারী হওয়া ও চর্বির পরিমাণ বাড়া
— শরীর থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো গন্ধ বের হওয়া এবং ব্রণ হওয়া
— স্বচ্ছ বা সাদা রঙের স্রাব নির্গমন
— স্তনবৃদ্ধির ২-৩ বছরের মধ্যে প্রথম মাসিক হওয়া (গড়ে ১২ বছর বয়সে)
advertisement
কত দূরত্ব বিমানে যাবেন? ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভাড়া বেঁধে দিল কেন্দ্র! আপনার কত পড়বে দেখে নিন
সপ্তাহের সবচেয়ে খারাপ দিন কোনটা? ঘোষণা করে দিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস! দেখুন আপনার সঙ্গে মেলে কিনা
মাসিক নিয়ে কী ভাবে কথা বলবেন?
ডা. রেণুর পরামর্শ, সন্তানের সঙ্গে মাসিক বিষয়ক আলোচনা শুরু করতে দেরি করা উচিত নয়। সাত-আট বছর বয়স থেকেই শরীরের পরিবর্তন নিয়ে সহজ ভাষায় কথা বলা শুরু করতে হবে এবং ধীরে ধীরে বিষয়টি বিস্তৃত করতে হবে। প্রথম মাসিক হওয়ার পর হঠাৎ করে অনেক তথ্য একসঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করলে শিশুর মনে ভয় বা উদ্বেগ তৈরি হতে পারে।
বয়ঃসন্ধিতে পা দিচ্ছে মেয়ে ? কী ভাবে কথা বললে সে নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ বোধ করবে? যে ভুলগুলো কখনওই করবেন না, জেনে নিন
মাসিক বা শরীর নিয়ে কথা বলার সময় অভিভাবকের মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি শান্ত, স্বচ্ছন্দ ও বিচারহীন ভঙ্গিতে কথা বলেন, তাহলে শিশুটিও নিরাপদ বোধ করবে এবং কোনও প্রশ্ন বা সন্দেহ থাকলে আপনার কাছেই আসবে। পরিবারে এই বিষয়টিকে স্বাভাবিক ও ট্যাবুহীন রাখাই হল লক্ষ্য।
আলোচনার সময় সঠিক চিকিৎসা-সংক্রান্ত শব্দ ব্যবহার করাও জরুরি। “গর্ভাশয়”, “যোনি”, “মাসিক”—এই শব্দগুলি ঠিকভাবে ব্যবহার করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয় এবং ভবিষ্যতে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতেও সুবিধা হয়।
বাচ্চার বয়স অনুযায়ী সহজ ভাষা ব্যবহার করা উচিত। ডা. রেণুর কথায়, “ছোট মেয়েদের বোঝাতে গেলে বলতে হবে—মাসিক হলো শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা গর্ভাশয়কে সম্ভাব্য গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। মাসিক না হলে শরীর সেই অংশটুকু পরিষ্কার করে নতুন করে তৈরি হয়।”
অকাল কৈশোরের লক্ষণ শনাক্ত করা জরুরি
অভিভাবকের উচিত সন্তানের শরীর ও আচরণের পরিবর্তন খেয়াল রাখা। স্বাভাবিক সময়ের আগেই কৈশোর শুরু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এর ফলে অল্প উচ্চতায় থেমে যাওয়া কিংবা মানসিক চাপ সহ নানা সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।
নিচের অবস্থাগুলিতে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি—
— ৮ বছরের আগেই কৈশোরের লক্ষণ দেখা দিলে
— ১৩ বছর বয়সেও কোনও লক্ষণ দেখা না গেলে
— ৯ বছরের আগেই প্রথম মাসিক হলে
— খুব দ্রুত সমস্ত পরিবর্তন একসঙ্গে ঘটলে
— শারীরিক পরিবর্তনের ফলে অতিরিক্ত মুড সুইং, উৎকণ্ঠা বা বিষণ্ণতা দেখা দিলে
— মাসিকের সময় অস্বাভাবিকভাবে বেশি রক্তপাত বা তীব্র ব্যথা হয়ে পড়াশোনা বা দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হলে
