কিন্তু বিটরুট, আখ, গুড়ের মতো উপাদান মজিয়ে তৈরি হওয়া, জলে সহজেই মিশে যাওয়া স্ফটিকাকার আজিনোমোতো কি সত্যি ক্ষতিকর? আজকের খাদ্যরসিক তথা বিশেষজ্ঞদের মত, আজিনোমোতো যে ক্ষতিকর, সে সম্বন্ধে কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই৷ বরং একাংশের অভিযোগ, এশীয় খাবার, বিশেষত চিনা খাবারের স্বাদকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই নাকি কয়েক যুগ ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে আজিনোমোতোকে এই পরিচয় দেওয়া হয়েছে পশ্চিমী সমাজে৷ অবশ্য প্রথমেই মনে রাখা দরকার, কিছু মাংস, খাবার এবং শাকসব্জিতে প্রাকৃতিকভাবেই থাকে এমএসজি বা আজিনোমোতো৷
advertisement
পুষ্টিবিদ এবং পেশাদার ডায়েটিশিয়ান দীক্ষা অহলওয়াত সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, আজিনোমোতো যদি নিরাপদ হয়ে থাকেও, তার পরও দৈনিক আহারে পরিমিতই থাকা প্রয়োজন৷ তিনি মনে করেন নিত্য আহারে ০.৫৫ গ্রামের বেশি আজিনোমোতো থাকা উচিত নয়৷ অন্তঃসত্ত্বা, শিশু, হৃদরোগী, কিডনিরোগীদের এই আজিনোমোতো বর্জনীয় বলেই মনে করেন দীক্ষা৷ তাঁর কথায়, ‘‘এমএসজি খেলে ওজন বাড়তে পারে৷ সেইসঙ্গে খিদেও বেড়ে যায়৷ ফলে খাওয়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়৷ দেখা দেয় হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো শারীরিক সমস্যা৷’’
ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ-এর মতে, গত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে খাবারের স্বাদগন্ধ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে আজিনোমোতো৷ প্রথমে কোনও সমস্যাই ছিল না৷ কিন্তু ১৯৬৮ সালে এর দিকে প্রথম আঙুল ওঠে৷ নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ এক চিকিৎসক লেখেন যে চাইনিজ খাবার খেলেই তাঁর প্যালপিটিশন হয়৷ সেইসঙ্গে দেখা দেয় ঘাড়, পিঠ এবং বাহুতে অসারতা৷ এর পর থেকেই আজিনোমোতো ঘিরে আবৃত হতে থাকে অভিযোগের আবরণ৷
পরবর্তীতে একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রান্নার এই উপকরণ নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং খাবারে অসামান্য স্বাদ যোগ করে৷ নুন খাওয়ার পরিমাণ কমাতেও অনেকে আজিনোমোতোর উপর নির্ভর করেন৷
( আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F)