শরীরে মিনারেলের অভাব দেখা দিলে আয়রনের অভাব দেখা যায়। আয়রনই শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এছাড়া রক্তে এক ধরনের ব্লাড সেল থাকে যা রক্তে অক্সিজেন সঞ্চালনে সাহায্য করে। রক্তে যথেষ্ট পরিমাণে হিমোগ্লোবিন না থাকলে শরীরের পেশীগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে অ্যানিমিয়া বলে। তবে অনেক সময়েই সহজে বোঝা যায় না, শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে কি না। সেক্ষেত্রে কী কী উপসর্গ দেখলে সাবধান হতে হবে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনি কি থাইরয়েডে আক্রান্ত! নিজের নখ দেখেই আন্দাজ করতে পারবেন
অত্যাধিক ক্লান্তি: সময়মতো ভরপেট খাওয়া দাওয়ার পরেও অত্যধিক ক্লান্তি যেন ঘিরে ধরছে। বিশ্রাম নেওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমনোর পরেও সেই ক্লান্তি কাটছে না। এমনটা হলে শরীরে অবশ্যই আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। সারাদিনই ক্লান্তি বোধ করা আয়রন ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ। আয়রনের অভাবে শরীরের প্রতিটি অঙ্গে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয় না। ফলে মাঝে মাঝেই ক্লান্ত লাগে। তাই এই উপসর্গ দেখলে সাবধান হতে হবে।
মাথার যন্ত্রণা এবং মাথা ঘোরা: শরীরে আয়রন পরিমাণ কম থাকলে মস্তিষ্ক সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পায়। এর ফলে মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: মাথায় টাক দেখা যাচ্ছে? অব্যর্থ ৪টে টোটকা, চুল পড়া কমবে, গজাবে নতুন চুল-ও
ভঙ্গুর নখ: নখ দেখেও বোঝা যায় শরীরে আয়রনের অভাব হলো কি না। আয়রন নখের যত্ন নেয়। স্বাভাবিকের তুলনায় আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে নখও ভঙ্গুর হয়ে যায়। একটু বড় হতে না হতেই নখ ভেঙে যেতে শুরু করে।
ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া: আয়রন শরীরের সমস্ত অংশে রক্ত পরিবহনের জন্য অত্যাবশ্যক। কিন্তু আয়রনের কমতি থাকলে দেহের কোষগুলিতে রক্ত সমান ভাবে পৌঁছয় না। ফলে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়। আয়রনের ঘাটতি খুব বেশি হলে ত্বক হলুদ দেখায়।
বুকে ব্যাথা: শরীরের সমস্ত অংশে অক্সিজেন সরবরাহ কম হলে বুকে ব্যাথা হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্রোগ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা না থাকলেও ঘন ঘন বুকে ব্যথা হলে আয়রনের অভাব আছে বলে মনে করা হয়। এর ফলে অনেক সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়।