আরও পড়ুন- আসছে প্রেমের সপ্তাহ! প্রিয় মানুষের জন্য কীভাবে সাজিয়ে রাখবেন গোলাপ বা চুম্বন?
থিম
চলতি মাসেই জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঘোষণা করেন নারী যৌন অঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের আন্তর্জাতিক দিবসের এবারের মূল থিম নারী যৌনাঙ্গচ্ছেদ বন্ধে বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করা (Accelerating Investment to End Female Genital Mutilation)। প্রতি বছর চার মিলিয়নেরও বেশি মেয়ে এই প্রথার শিকার হয়। জাতিসংঘ এমন আয়োজনগুলিতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে যা এমন সামাজিক আচার ও বিশ্বাস পরিবর্তনে সহায়তা করতে পারে।
advertisement
ইতিহাস
আফ্রিকার নানান দেশ, দক্ষিণ কুর্দিস্তান, ইয়েমেন, মধ্যপ্রাচ্য, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের মুম্বইয়ের মতো অনেক জায়গাতেই মহিলাদের লিঙ্গচ্ছেদের প্রথাটি রয়েছে। সাধারণত মহিলারাই নিজেদের কন্যা সন্তানদের যৌন আনন্দকে দমিয়ে রাখতে এই প্রথা পালন করেন। তাদের বিশ্বাস মেয়েদের যৌনাঙ্গ ছেদ করলে তা তাদের শুদ্ধ ও পবিত্র করে তোলে। তাদের আরও বিশ্বাস যে মহিলাদের যৌনাঙ্গ বিকৃত করলে যৌনমিলনের সময় পুরুষদের সুখ আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।
১৯৭০ সাল থেকে এই জঘন্য প্রথা নিয়ে সরব হয়েছেন মানুষ। মূত্রনালীর দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ, ঋতুচক্রের সমস্যা, ক্রমাগত ব্যথা, গুরুতর রক্তপাত, সিস্ট তৈরি এবং প্রসবকালীন জটিলতার মতো ক্ষতিকারক প্রভাবগুলিকে বারে বারে তুলে ধরেছেন বিরোধীরা।
পশ্চিম আফ্রিকার টোগো জনজাতির ফৌজিয়া কাসিন্দজা যৌনাঙ্গ বিকৃতির শিকার হওয়া থেকে অল্পের জন্য পালিয়ে বাঁচেন এবং পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানসিক হাসপাতালে ঠাঁই হয় তাঁর। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে এই জঘন্য সমস্যাটিকে ফের প্রকাশ্যে আনে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিকে নারীর যৌন অঙ্গচ্ছেদের জন্য জিরো টলারেন্স আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।
আরও পড়ুন- নীল ছবিতে আসক্তি? বিয়ে বা প্রেমে নেমে আসা ভাঙন ঠেকাতে সতর্ক হন এখনই
তাৎপর্য
মহিলাদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ একজন মহিলার শারীরিক অখণ্ডতা এবং স্বাস্থ্যের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। অনেক দেশই এই প্রথাকে নিষিদ্ধ করেলেও বিশ্বের কিছু অংশে তা এখনও গোপনে অব্যাহত। জাতিসঙ্ঘের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য ৫ অনুযায়ী, নারীর যৌন অঙ্গচ্ছেদ বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রথা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার অভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি।
