কতটা ক্যালোরি পোড়ানো উদ্দেশ্য: শুধু ইন্ডোর বা আউটডোর সাইক্লিং নয়। ক্যালোরি পোড়ানো নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর। ওজন, কতটা গতিতে সাইকেল চালানো হচ্ছে, বিরতি নেওয়া হচ্ছে কি না – এসব কিছু মাথায় রাখতে হয়। তবে দেখা গিয়েছে, ইন্ডোরের চেয়ে আউটডোর সাইক্লিংয়ে ক্যালোরি বেশি পোড়ে। যেমন যাঁর ওজন ৫৬-৫৭ কেজি, ৩০ মিনিটের ইন্ডোর সাইক্লিংয়ে তিনি ২১০ থেকে ৩৫০ ক্যালোরি পোড়াতে পারেন। অন্য দিকে একই ওজনের ব্যক্তি ৩০ মিনিটের আউটডোর সাইক্লিংয়ে ২৪০ থেকে ৪৯৫ ক্যালোরি পোড়াতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন- নগদ টাকা থেকে চাঁদের ভ্রমণ: খয়রাতির রাজনীতিতে চটকদার প্রতিশ্রুতি গিলেছেন ভোটাররা
ইন্ডোর সাইক্লিংয়ের সুবিধে: আউটডোর সাইক্লিংয়ের আলাদাই মজা। ছবির মতো সরে সরে যাচ্ছে গাছপাতা। প্রতি মুহূর্তে পট পরিবর্তন হচ্ছে প্রকৃতির। এই দৃশ্য উপভোগ করতে গিয়ে ওয়ার্কআউটের তীব্রতা বাড়ানোর কথা ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু ইন্ডোর সাইক্লিংয়ে সেই জো নেই। এখানে সাইকেল স্থির। তাই নিজেকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করা যায়। ট্রাফিকের দিকে নজর দিতে হয় না। এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় গতি মন্থর হওয়ার মতো অসুবিধে এখানে নেই। তাই চোখ বন্ধ রেখে গতি বাড়ানো যায়।
ইন্ডোর সাইক্লিং এবং ওজন হ্রাস: তবে ইন্ডোর সাইক্লিং কি ওজন কমাতে সাহায্য করে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাও গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়ে বেশ কিছু গবেষণাও হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, খাবারে কোনওরকম পরিবর্তন ছাড়াই স্ট্রেন্থ ট্রেনিংয়ের সঙ্গে ইন্ডোর সাইক্লিং অভ্যাসে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেছে। ২০১৮ সালে ৪০ জন মহিলার উপর চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১২ সপ্তাহ ইন্ডোর সাইক্লিংয়ের পর তাঁদের সামগ্রিক কোলেস্টেরলের মাত্রা, শরীরের ভর, চর্বি শতাংশ এবং বডি মাস ইনডেক্স কমে গিয়েছে।
স্পিনিং বনাম সাইক্লিং: দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৪ জন মাধ্যমিক ছাত্রীর উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে ১২ জন ইন্ডোর এবং ১২ জন আউটডোর সাইক্লিং করে। ১৬ সপ্তাহের এই সমীক্ষায় গবেষকরা দেখেছেন, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই। তবে অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক সুস্থতা, শরীরের চর্বি পোড়ানো এবং বডি মাস ইনডেক্সের উপর বেশি প্রভাব ফেলেছে ইন্ডোর সাইক্লিং। সংক্রামক রোগের ঝুঁকির কারণে জিম বা পার্কে ঘাম ঝরাতে না চাইলে ইন্ডোর সাইকেল কেনা যায়। বন্ধুদের সঙ্গে রাইডিং পছন্দ হলে আউটডোর সাইক্লিং উপযুক্ত।