বিভিন্ন ধরনের অ্যালোকেশিয়া হয় ক্রান্তীয় অঞ্চলে৷ তার মধ্যে একটি হল ‘গ্রিন শিল্ড অ্যালোকেশিয়া’ (Green Shield Alocasia)৷ চেহারায় আমাদের কচুপাতার সঙ্গে মিল আছে৷ আদতে ফিলিপিন্সের এই গাছ যেন চাঁদোয়ার মতো৷ আকৃতির জন্য একে ‘এলিফ্যান্ট ইয়ার’-ও (Elephant Ear) বলে৷ প্রসঙ্গত গ্রিক ভাষায় ‘ক্লাইপেওল্যাটা’ শব্দের অর্থই শিল্ড বা ঢাল৷
আরও পড়ুন : চুল ভাল রাখতে চান? প্লাস্টিকের নয়, ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি
advertisement
এরকম একটি গাছ ঘরে রাখলে বদলে যায় ঘরের সৌন্দর্য৷ ভাল হয়ে যায় মনও৷ তবে অ্যালোকশিয়া গাছ পুরোপুরি আলোবর্জিত স্থানে রাখা যাবে না৷ ইন্ডোর প্ল্যান্ট হিসেবে একে রাখুন বাড়ির এমন এক জায়গায়, যেখানে আলো আছে ৷ কিন্তু রোদ্দুর সরাসরি পড়ে না৷ বিশেষকরে মধ্যাহ্নের রোদ তো একদমই লাগতে দেওয়া যাবে না৷
এই গাছ যে টবে রাখবেন তার মাটি যেন ঝুরঝুরে হয়৷ গাছের গোড়ায় বা মাটিতে জল বেশি ধরে রাখলে কিন্তু আখেরে ক্ষতি হবে গাছেরই৷ পচে যাবে শিকড়৷
আরও পড়ুন : ভাতের ফ্যান রোজ ফেলে দেন? এক বার দেখুন কোন কোন উপকারিতা হেলায় হারাচ্ছেন
তাছাড়া শীতল তাপমাত্রাতেও এই গাছ স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে৷ শীতে আলো ও তাপমাত্রা কমে যায় একটু বেশি খেয়াল রাখবেন৷ অনেক সময়েই এই গাছ শীতে প্রাণহীন হয়ে পড়ে৷ যেন সরীসৃপদের মতো শীতঘুমে চলে গিয়েছে৷ পড়ে যেতে পারে পাতাও৷ সে সময় চিন্তা করবেন না৷ বরং গাছটিকে উষ্ণ জায়গায় রাখবেন৷ অনেক সময় নার্সারি থেকে আনার পরও ‘ডরম্যান্সি’ দেখা দিতে পারে৷ পড়ে যায় এর পাতা৷ অনেক সময় নার্সারি থেকে বাড়িতে আনার পরও নিস্তেজ হয়ে যায় এই গাছ৷ তার পর ধীরে ধীরে মানিয়ে নেয় নতুন পরিবেশে৷
আরও পড়ুন : রুটি নাকি ব্রাউন ব্রেড? কোনটা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
এই গাছে একবারে বেশি জল দেবেন না৷ টবের মাটি খুব ভিজে থাকলে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ এই গাছের পাতা আক্রমণ করে কীটপতঙ্গরাও৷ নার্সারি থেকে জেনে নিয়ে সে সময় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন৷