গত ২ বছরের যত্ন ও পরিচর্যায় লক্ষ্মীর ওজন বেড়েছে ২৪০ কেজি। এখন তার ওজন ৩১৪০ কেজি। পশু বিশেষজ্ঞ ডক্টর ইলায়ারাজা এস জানিয়েছেন দীর্ঘ দিন পর্যাপ্ত খাবার ও জল না পেয়ে হাতিটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্রনিক যন্ত্রণা। এখন পুষ্টিকর খাবার ও পরিচর্যায় অনেকটাই সুস্থ সে।
advertisement
যন্ত্রণা কমানোর জন্য বালির ঢিবি, আরামের জন্য কাদার স্তূপ, মাথা ও শুঁড়ের বিশ্রামের জন্য বাঁশের স্ট্যান্ড, উষ্ণতার জন্য বিশেষ জ্যাকেট ছাড়াও ছিল নিয়মিত ম্যাসাজ। ডায়েটে থাকত ১২ কেজি ফল, ১২০ কেজি পশুখাদ্য, ঘি, ছানা, বাদাম এবং দানাশস্য। মাল্টিভিটামিন, মিনারেল ও লিভার টনিকও দেওয়া হত দরকারে। এক সময় ভিক্ষা করানোর জন্য এতটাই হাঁটানো হত তাকে, লক্ষ্মীর পায়ের হাড় ক্ষয়ে গিয়েছে। ফলে এখন বাড়তি ওজন সহ্য করতে পারছেন দুর্বল পা। সেই সমস্যারও দেখভাল করছেন ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন : বাগানের গাছে ফুল নেই? পাতা নির্জীব? জলে মেশান এই জিনিস! নিমেষে পালাবে সমস্যা
উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে লক্ষ্মীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে পরি নামে আর এক হাতির। নির্মম অত্যাচার থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল পরিকেও। সুস্থতার পথে উপযোগী হয়েছে দু’জনের সখ্যও। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।