হলুদ দুধের মিশ্রণ:
প্রতিদিন আয়ুর্বেদিক (Ayurvedic) উপায়ে নিজের শরীর সুস্থ (Immunity) রাখার প্রক্রিয়াগুলি সব সময়ই কার্যকরী হয়। রাতে শোয়ার আগে যদি এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে তা ইমিউনিটি তো বাড়াবেই। সেই সঙ্গে করবে আরও উপকার। যেমন গলা ধরে গেলে বা চুলকোলে এটি খেলে আরাম হয়। আর যে কোনও ধরনের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। এ ছাড়া ব্রেনের কোষগুলিকেও সতেজ করতে সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুন - Health Tips: চকোলেট ড্রিঙ্ক খেতে ভালোবাসেন, অসাধারণ গুণে সমৃদ্ধ রক্ষা করবে শরীর
নাস্য থেরাপি:
বাড়িতেই থাকে এমন কিছু দ্রব্য দিয়ে এই থেরাপিটি করা সম্ভব। ঘি, তিলের তেল, নারকেল তেল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এটি বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে বা স্নানের আগে একটু নাকে দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট শুয়ে থাকতে হবে। এটি শরীরে ইনফেকশন তৈরি করতে পারে, এমন ভাইরাসকে মেরে দেয়। রোজ নিয়ম করে এক বার এটি ব্যবহার করলেই ফল পাওয়া যাবে।
আরও দেখুন - Yugpurush: Swami Vivekananda-র সঙ্গে Ramkrishna-র প্রথম দেখা কবে, কতটা প্রাসঙ্গিক তিনি আজকের সমাজে
চবনপ্রাশ ও জল:
ডাক্তারদের মতে, শীতকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকে। এই চবনপ্রাশকে যদি জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়, দিনে দুই থেকে তিন বার, তা হলে তা শরীরে জীবাণু ঢুকতে দেয় না এবং শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়। চবনপ্রাশে থাকে নানা ধরনের শিকড় ও ঔষধি, যা শরীরের জন্য ভালো।
প্রাণায়াম:
আয়ুর্বেদিক (Ayurvedic) উপায়ে নিজের শরীর সুস্থ (Immunity) রাখার প্রক্রিয়াগুলি সব সময়ই কার্যকরী হয়। প্রাণায়ামের (Pranayam) চেয়ে ভালো ওষুধ বোধহয় আর কিছু হয় না। দিনে সময় বার করে কপালভাতি ও ভাস্ত্রিকা– এই দু’টো প্রাণায়াম করলে শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কার হয় এবং ইমিউনিটি সিস্টেমও ভালো হয়। যাদের হজমের অসুবিধা আছে, তাদের জন্যও এই প্রাণায়াম দুটি কার্যকর হবে।
ছোটবেলা থেকে ঠাকুমা দিদারা যে ঘরোয়া টোটকার কথা আমাদের বলতেন, আজ সেই টোটকাই আমাদের কাজে আসবে। এই কিছু উপায় যদি রোজ নিয়ম করে মেনে চলা যায়, তা হলে শরীরে ইমিউনিটি (Immunity) আসতে বাধ্য। এবং এখন এই করোনার প্রকোপে ইমিউনিটিই এমন একটা অস্ত্র, যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে। যতটা সম্ভব বাড়িতেই থাকতে হবে এবং এইগুলি এ বার মানা শুরু করতে হবে।