শিশুর বয়স ৬ মাস হওয়ার পর থেকেই তাদের খাবার জায়ফল মেশানো উচিত। এটি একটি নিরাপদ উপকরণ যা খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে এবং শিশুর স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে।
জায়ফলের পুষ্টিগুণ
জায়ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কারন এতে শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়া, এই মশলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। স্বাদে সাধারণ বাদামের মতো এই মশলাটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বলেও পরিচিত।
advertisement
শিশুদের জন্য জায়ফল
ছোট শিশুদের জন্য জায়ফল খুবই স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী। একটি শিশুকে এই মশলাটি নিয়মিত খাবারে মিশিয়ে খাওয়ানো হলে শিশুর ভালো ঘুম হয় এবং সর্দিকাশির মতো রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
কী কী কারণে জায়ফল শিশুদের জন্য উপকারি?
সর্দিকাশি নিরাময় করে
জায়ফল শিশুদের শরীরে উষ্ণতা প্রদান করে। শিশুর মুখে এক চিমটি জায়ফল গুঁড়ো দিয়ে বা ডালিয়া, ডাল অথবা খিচুড়ি জাতীয় শক্ত খাবারে এক চামচ গুঁড়ো মিশিয়ে এটি শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং সর্দিকাশির মতো রোগ থেকে সহজে রেহাই পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন- রোজ গোছা গোছা চুল পড়ছে? অবিলম্বে ডায়েট থেকে বাদ দিন এই ৫টি খাবার
শিশুকে ঘুমোতে সাহায্য করে
জায়ফল ছোট বাচ্চাদের মস্তিষ্ককে শান্ত করে। এটি শিশুদের বিরক্তি ভাবকে অনেকটা কমিয়ে দেয় যার ফলে শিশু শান্তিতে অনেকক্ষণ ঘুমোতে পারে। এই মশলার উপকারিতা বৃদ্ধি করতে বুকের দুধে এক চিমটি জায়ফল মিশিয়ে দেওয়ার পরামর্শও অনেকে দেন। যাঁরা তাদের শিশুকে গরুর দুধ খাওয়ান, তাঁরাও দুধে এই মশলা মিশিয়ে দিতে পারেন।
পেটের সমস্যা দূর করে
প্রায় সব শিশুরই কোলিক বা গ্যাসের সমস্যা থাকে। শিশুর পেটকে ঠিক রাখতে একটু জায়ফল তাকে খাওয়ানো যেতে পারে। এটি পেটব্যথা দূর করার পাশাপাশি শিশুর পাচনতন্ত্রকে শান্ত রাখে।