শিমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম৷ তাছাড়া এতে প্রচুর প্রোটিন এবং ফাইবার আছে৷ তাই মধুমেহ রোগীর ডায়েটে এই সবজি রাখতে ভুলবেন না৷ ব্লাড সুগারের রোগীদের ডায়েটে শিম রাখার কথা বলে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন৷ তাদের মতে এই সবজি খুব ভাল ভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে৷ এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে৷ তাই ব্লাড সুগারের রোগীদের ডায়েটে এই সবজি রাখতেই হবে৷
advertisement
শীতের মরশুমি সব্জি শিমের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। স্যাচিওরেটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম বেশ কম এই সব্জিতে। প্রচুর পরিমাণে আছে প্রোটিন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, কপার ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কাও কমায় শিমের গুণ। ভিটামিন বি-১ প্রচুর পরিমাণে থাকায় ভেন্ট্রিকুলার ফাংশন ভাল থাকে। প্রচুর ফাইবার থাকায় পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অম্বল, বদহজমও দূর হয়। গা বমি ভাব, আলসার, ডায়রিয়া, কৃমির সমস্যার সমাধানও লুকিয়ে শিমে। শিমের ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ভাল রাখে শরীরের হাড়ের স্বাস্থ্য। দাঁতের ক্ষয় রোধ করে ভাল রাখে দাঁতও।
আরও পড়ুন : রাতভর ভিজিয়ে সকালে খালিপেটে এই জল খেলেই ওজন কমে রোগা হবেন
দীর্ঘ দিন ব্লাড সুগারে আক্রান্ত হলে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ৷ দেখা দেয় নানা ধরনের অসুখ ও শারীরিক জটিলতা৷ তাই সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্যেও মধুমেহ রোগীরা ডায়েটে সবজি হিসেবে অবশ্যই রাখুন শিম৷