প্রতিদিন মানুষের মাথা থেকে প্রচুর চুল পড়ে যায়(Human Hair being recycle to create cloths )। ছেলে মেয়ে উভয়ের চুল পড়াটা স্বাভাবিক নিয়ম। নানা কারণে চুল পড়ে যায়। তার মধ্যে লিভারের সমস্যাও একটা বড় বিষয়। কিন্তু আমরা সেই চুল ফেলে দিই। বা অনেক সময় জমিয়ে রেখে বিক্রিও করা যায় চুল। আবার ক্যান্সার রোগীদের জন্যও দান করা হয় চুল। কিন্তু তা দিয়ে যে সোয়েটার বানানো যেতে পারে তা বোধহয় সোফিয়াই প্রথম ভাবলেন।
advertisement
নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে থাকেন সোফিয়া। তিনি মানুষের ফেলে দেওয়া চুল থেকেই তৈরি করেন নানা ধরণের পোশাক। যা সত্যিই বিস্ময়কর ও পরিবেশবান্ধবও।
তিনি জানান, প্রতিবছর ইউরোপে প্রায় সাত কোটি কেজিরও(Human Hair being recycle to create cloths ) বেশি চুল অপচয় হয়। ওই চুল পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তারা এই নান্দনিক পোশাক তৈরি করেন। উলের মতো চুলও তৈরি কেরাটিন তন্তু দিয়ে। আর চুল বিষাক্তও নয়, ফলে কৃত্রিম তন্তুর তুলনায় এটি অনেক ভালো বিকল্প বলে জানান এই বস্ত্রশিল্পী।
চুলে নানা রকম রঙ করে, বিশেষ পদ্ধতিতে(Human Hair being recycle to create cloths ) উলের মতো জিনিস তৈরি করে সোয়েটার বানান। তাঁর মতে, যেহেতু চুলের অভাব নেই। তাই এই কাঁচামাল সহজেই পাওয়া যায়। এটি হালকা এবং তাপরোধী। তাই এই চুল দিয়ে শুধু সোয়েটার নয়, মজাদার পোশাকও তৈরি করা যেতে পারে। সোফিয়ার এই আবিষ্কার যে ফ্যাশন দুনিয়ায় বদল আনবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।গোটা বিশ্বের মানুষ এই চুলের পোশাক নিয়ে চর্চা শুরু করেছেন।
ভাবলে অবাক লাগে, যে ফেলে দেওয়া চুলকেও (Human Hair being recycle to create cloths )কাজে লাগানো যেতে পারে। নেটিজেনরা সোফিয়ার এই আবিষ্কার নিয়ে নানা মন্তব্য ইতিমধ্যেই করতে শুরু করেছেন। অনেকেই এই চুলের সোয়েটার কিনতে চেয়েছেন। তবে বাজারে কবে থেকে পাওয়া যাবে এই চুলের তৈরি পোশাক, সেটাই দেখার।