হাওড়া-আমতা রাজ্য সড়ক ঘেঁষে মঠের দুয়ার। দুয়ারের দুই প্রান্ত যেন দুটি আলাদা পৃথিবী। মঠের প্রবেশ দুয়ারের আগেই ব্যস্ত সড়ক যেখানে, মানুষের কোলাহল যানজট লেগেই থাকে। আর এই দুয়ার পার করলেই ছবি বদল। একপ্রান্তে ব্যস্ত সড়ক যানজট, ভিড়, আর অন্য প্রান্তে বড় বড় গাছে ঘেরা একটা স্থান। নেই যানজট, নেই ভিড়, বড় বড় গাছ ও কংক্রিটের প্রাচীর বাইরের কোলাহল যেন আটকে দিচ্ছে। শতাব্দী প্রাচীন আকাশ চুম্বনকারী গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
advertisement
দুয়ার থেকে সোজা মন্দিরের পথ। এই মন্দিরে রয়েছে নানা দেব দেবীর মূর্তি এবং সাধক সদানন্দর গুরুর মূর্তি। মন্দির পার করলেই একটি পুকুর। মঠের নানা স্থানে ও গাছের নীচে বসার জায়গা। নাটমন্দির এবং আলাদা কক্ষ রয়েছে যেখানে মানুষ চাইলেই বসতে পারেন। বড় বড় গাছে ঘেরা একটা স্থান যেখানে ঠিকমত সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে না। এখানে পৌঁছলে মনে মিলবে মানসিক তৃপ্তি। তাই সারা বছর এখানে মানুষ আসেন মানসিক শান্তি পেতে। এই বর্ষাতেও মানুষের উপস্থিতি এখানে।
সপ্তাহ শেষে বা কিছুদিন অন্তর সময়ক কাটানো বহু মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ঠিক তেমনই সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে বা অবসর সময় একটু মন ভাল করতে বালুটিকরি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের কাছে ঠিকানা ‘ সদানন্দমঠ’। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা সমস্ত বয়সের মানুষ এখানে এসে সময় কাটান। এই স্থান মন ভাল করার ওষুধ তাঁদের কাছে।
আরও পড়ুন : তুলোয় মাখিয়ে জাস্ট কয়েক ফোঁটা দাঁতের কালো গর্তে! মুহূর্তে ভ্যানিশ চোখে জল আনা যন্ত্রণা!
কেউ বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ করছেন গল্পগুজব। আবার কেউ ভক্তিগীতি বা হরিনাম করছেন নাটমন্দিরে বসে। ব্যস্ত শহরের মাঝে অন্য একটা স্থান যেটি মানুষের খুব প্রিয়। এখানে আসা মানুষজন জানান, অধিকাংশ মানুষ প্রায় প্রতিদিন আসেন। কমবয়সি থেকে বৃদ্ধ-সকলেই হাজির হন এখানে। শহরের মধ্যে প্রকৃতি সৌন্দর্যে ভরা মন ভাল করে তোলার স্থান সদানন্দ মঠ।