১৯৯১ সালে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। একসঙ্গে প্রায় ২৪ জন মানুষ গ্যালোপিং ট্রেনে কাটা পড়েন। সেই ঘটনা ভীষণভাবে মনে দাগ কেটেছে। তারপর থেকে আর কোনও একজন ব্যক্তি যাতে, তাঁর চোখের সামনে কাটা না পড়ে সর্বদা সতর্ক থাকেন লক্ষ্মী। রোজ রামরাজাতলা স্টেশনে ক্রসিং-এ পাহারা দেন তিনি। ক্রসিংয়ে লক্ষ্মীবাবু দাঁড়িয়ে থাকা মানেই যাত্রীদের ভরসা। নিশ্চিন্তে লাইন পারাপার করতে পারেন মানুষ। শুধু তাই নয়, আপ ডাউনে কখন কোন ট্রেন আসবে-সেই নিয়ে নানা তথ্য যাত্রীরা জানতে পারেন লক্ষ্মীর কাছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর এভাবেই দিনের পর দিন মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে একজন ডাবওয়ালা। ২০১১ সালে হঠাৎ এক রেল আধিকারিক স্বয়ং হাজির হন তাঁর কাছে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নগদ ৫০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
advertisement
প্রতিদিন ভোর পাঁচটার ট্রেন ধরে উলুবেড়িয়া থেকে রামরাজাতলা হাজির হন লক্ষ্মীবাবু। আবার দুপুর ১-১.৩০-র ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরেন ৫৯ বছর বয়সি লক্ষ্মীবাবু। এ প্রসঙ্গে লক্ষ্মীবাবু জানান, ১৯৮৬ সাল থেকে রামরাজাতলায় ডাব বিক্রি শুরু করেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর পর ১৯৯১ সালে মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনা। তার পর থেকে সাধারণ মানুষ যাতে কোনও ভাবে দুর্ঘটনার কবলে না পড়েন, মানুষকে সাবধান করে চলেছেন।