প্রাচীন পদ্ধতি
প্রাচীনকালে মানুষ দাঁত পরিষ্কার করতে তেতো গাছের ডাল যেমন নিম গাছের ডাল ব্যবহার করত। তিক্ত-স্বাদযুক্ত ডালের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান মুখের (Oral Health) ভিতর জীবাণু মুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করত। কড়া স্বাদযুক্ত গুল্মগুলি মুখ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং দুর্গন্ধের বিরুদ্ধেও লড়াই করে। নিম, আম, এবং পিপল গাছের ডালগুলি এই কাজে ব্যবহৃত হত।
advertisement
আরও পড়ুন - Snakes নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা, Dinosaursদের অবলুপ্তির পরেই কীভাবে এল সাপ
কী ভাবে গাছের ডাল ব্যবহার করতে হবে
ডালটি ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং হাতের আঙুলের মতো মোটা হওয়া উচিত যাতে এটি সহজে ধরে রাখা যায়। ব্রাশ হিসাবে ডালটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এর আগা চিবাতে হবে এবং তা রপরে আলতো করে এটি দিয়ে দাঁত ঘষতে হবে।
ভেষজ টুথপেস্ট বিষয়ে দু'চার কথা
আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের টুথপেস্ট পাওয়া যায়। দাবি করা হয় এগুলি বিভিন্ন ডালপালা দদিয়ে তৈরি। ভেষজ টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায় কারণ এগুলি ভেষজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি এবং রাসায়নিক মুক্ত। এগুলি রাসায়নিক দেওয়া আধুনিক টুথপেস্টের চেয়ে ভালো।
আরও পড়ুন - IPL 2021: Anushka Sharma-র থেকে কোন অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন Virat Kohli
দাঁত ব্রাশ করার সঠিক উপায়
বিজ্ঞান অনুসারে, কমপক্ষে দুই মিনিটের জন্য সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। মুখের প্রতিটি কোণ পরিষ্কার রাখা দরকার। দাঁতের ফাঁকগুলির মধ্যে বিশেষভাবে পরিষ্কার করতে হবে এবং সঠিকভাবে পরিষ্কার করার জন্য চক্রাকার ভাবে স্ট্রোকগুলিতে ডাল ঘোরাতে হবে।
জিভ স্ক্র্যাপিং
আয়ুর্বেদ দাঁত ব্রাশ করার পর পরই জিভ স্ক্র্যাপ করার পরামর্শ দেয়। স্ক্র্যাপিং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পদ্ধতি সম্পন্ন করে। এটি জিভ থেকে ময়লা বা জমে থাকা আবরণ দূর করতে সাহায্য করে।