আরও পড়ুন - সাপের কামড়েও দমলেন না, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসেই পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
তাহলে সেক্ষেত্রে উপায় কী? উপায় খুব সহজ, রোজকার ব্যস্ত রুটিন থেকে অল্প সময় বার করে পায়ের যত্ন নিতে হবে। আসলে গরমের দিনে আমরা ত্বক ও চুলের যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু ভুলে যাই হাত-পায়ের যত্ন নেওয়াটাও কতটা জরুরি! তাই আর কথা না-বাড়িয়ে এবার দেখে নেওয়া যাক, গ্রীষ্মকালে পায়ের যত্নের কিছু টিপস। এগুলো মেনে চললে ট্যানের দাগ-ছোপ তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে পায়ের ত্বক হবে পালকের মতো নরম, মোলায়েম।
advertisement
স্ক্রাব মাস্ট:
যে কোনও এক্সফোলিয়েটিং বডি ওয়াশ দিয়ে পা ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। আসলে এই ধরনের বডিওয়াশ শুধু ত্বক পরিষ্কার করে না, স্ক্রাব করে পা-কে সুন্দর ও কোমল রাখে। এছাড়া পায়ে স্ক্রাব করার জন্য কফিও ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত পা স্ক্রাব করলে ট্যানের দাগ এবং মৃত ত্বক দূর হবে।
পায়ের আরাম:
পা পরিষ্কার ও পায়ের আরামের জন্য একটি বড় পাত্রে ঈষদুষ্ণ গরম জলে ১ টেবিলচামচ এপসম লবণ, কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল এবং ১ চা-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর ৩০ মিনিট মতো ওই মিশ্রণে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার তেল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল ইন্দ্রিয়গুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ করবে, এপসম সল্ট এবং বেকিং সোডা মৃত চামড়া দূর করে।
পুষ্টির জোগান:
রোজকার স্কিন কেয়ার রুটিনের আওতায় কিন্তু রয়েছে পা-ও, এটা ভুললে চলবে না! তাই পা ভালো করে পরিষ্কার করার পরে ময়েশ্চারাইজার লাগানো আবশ্যক। এটা পায়ের রুক্ষ-শুষ্ক চামড়ায় জোগাবে পুষ্টি। তাই পায়ের পাতা, গোড়ালি এবং পায়ের আঙুলের ফাঁকে ময়েশ্চারাইজার পুরু করে লাগিয়ে ভালো ভাবে মাসাজ করতে হবে। এতে পায়ের ত্বক হবে পুষ্ট এবং মিলবে বেশ আরামও।
মাস্কের ব্যবহার:
পায়ের জন্য মাস্ক বানাতে ২ টেবিল-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে ৩ ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল এবং ২টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এই ফুট মাস্কটি পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এমনকী পায়ের তলায় এবং গোড়ালিতেও ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। মিশ্রণটি পায়ে লাগিয়ে মোজা পরে নিতে হবে। আর সারা রাত এভাবেই মাস্কটি পায়ে রেখে দেওয়া উচিত। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে দেখা যাবে, পায়ের ত্বক বেশ মোলায়েম হয়েছে। এভাবেই রুটিন মেনে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে দারুণ উপকার মিলবে।
কিউটিকল দূর করা উচিত:
পায়ের দাগ দূর করা শুধু নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে পায়ের নখেরও যত্ন নেওয়া জরুরি। নখ ভালো করে ফাইল করে নিয়ে নখের চারপাশে ভেসলিন লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে নখের ময়লা এবং মৃত কিউটিকল সহজেই পরিষ্কার করা সম্ভব।
পেডি-রকের ব্যবহার
পায়ের যত্নের দারুণ একটি উপকরণ হল পিউমিস স্টোন। আর এই পাথর ভিজে অবস্থাতেও ব্যবহার করা যায়, আবার শুকনো অবস্থায়ও ব্যবহার করা যাবে। এই ধরনের পাথরের মাধ্যমে সহজেই পায়ের ত্বক এক্সফোলিয়েট করা সম্ভব। সামগ্রিক ভাবে পা নরম, সুন্দর ও মোলায়েম রাখতেও এটা দারুণ কার্যকরী। হাতে সময় কম থাকলে অনেক সময় টিভি দেখতে দেখতেই এই পাথরের মাধ্যমে দ্রুত স্ক্রাব করে নেওয়া সম্ভব।