তখনই মানুষ সাধারণত সামনে রাখা জলের গ্লাস তুলে নিয়ে এক নিঃশ্বাসে খেয়ে ফেলেন। এটাই সেই মারাত্মক ভল। এতে মুখের জ্বালা তো কমেই না, বরং জল পেটে পৌঁছে জ্বালা আরও বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে গোটা শরীরে তখন অস্বস্তি শুরু হয় প্রবলভাবে।
আরও পড়ুন: হলদে দাঁত, মুখে পচা গন্ধ? চিন্তার কিছু নেই! ঘরোয়া এই টোটকাতেই ঝকঝকে হবে আপনার হাসি, কীভাবে জানুন
advertisement
তাহলে প্রশ্ন হল, মিরচি লাগলে জল খাওয়া কি ঠিক? যদি আপনিও ঝালের প্রতি সংবেদনশীল হন, তবে আগে জানুন মশলাদার খাবার খেয়ে জ্বালা শুরু হলে কীভাবে তা থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
দুগ্ধজাত দ্রব্য খান – দুধ বা দুধ থেকে তৈরি দ্রব্য যেমন দই, ছানা, মিষ্টি ইত্যাদি মরিচের জ্বালা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। “Chili Pepper Madness” নামক এক সূত্র অনুযায়ী, দুধে উপস্থিত কেসিন (Casein) নামের একটি প্রোটিন ক্যাপসাইসিন (Capsaicin)-এর প্রভাবে হওয়া জ্বালা দ্রুত প্রশমিত করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি খান – যদি দুধ বা দই না থাকে, তাহলে যেকোনো মিষ্টির সাহায্য নিন, বিশেষ করে দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি যেমন সন্দেশ বা রসগোল্লা। এগুলো মুখের জ্বালা দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে হুরহুর করে বাড়ছে ক্যানসার! এখনই জানুন উপসর্গগুলি, অবহেলায় অকালেই ‘ছবি’ হতে পারেন আপনি…
জল খাওয়া এড়িয়ে চলুন – মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন একটি তেলজাতীয় যৌগ, যা জল দিয়ে ধোয়ার চেষ্টা করলে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। এতে জ্বালা কমার বদলে পেট ও অন্ত্রেও ছড়িয়ে পড়ে, যা আরও অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
মুখে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন – দুধ, দই বা মিষ্টি জিনিস শুধু খেয়ে ফেললেই হবে না, কিছুক্ষণ মুখে রেখে দিন। এতে কেসিন জ্বালার উৎসের সঙ্গে বেশি সময় ধরে কাজ করতে পারবে এবং দ্রুত আরাম দেবে।
হাতে লাগলে – যদি মরিচের প্রভাবে হাতেও জ্বালা হয়, তাহলে সেখানেও দুধ বা দই ব্যবহার করলে আরাম পাওয়া যাবে।
অতিমাত্রায় ঝাল খেয়ে জ্বালায় কষ্ট হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জলের পরিবর্তে দুধ, দই, মিষ্টির মতো সহজলভ্য উপায় বেছে নিলে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব। তাই ঝাল খাওয়ার আগে বা পরে এই ঘরোয়া টোটকাগুলো মাথায় রাখুন।