কিন্তু এখানকার এই মন্ডা এত জনপ্রিয় কেন? কীভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি? জেনে নেওয়া যাক দোকানের কর্ণধার সুশান্ত ঘোষ এই বিষয়ে ঠিক কী জানাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগে আমাদের দোকানে ৫০০, ১ কেজি ছানার মন্ডা তৈরি হত। তবে মণ্ডার মান ভাল করার জন্য বর্তমানে একটা ভাল জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। লাভের অংশ খুব কম রেখে আমরা কাজ করি। আমাদের এই ব্যবসা যদি শহরের কোনও বাজার এলাকায় থাকতো তাহলে আজকে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি করে ফেলতাম।”
advertisement
মিষ্টির দোকানের কর্ণধারের কথায়, তারা ছানার সঙ্গে খুব অল্প পরিমাণে চিনি মিশিয়ে এই মন্ডা তৈরি করেন। এখন ৫ টাকা এবং ১০ টাকা দামের মন্ডা পাওয়া যায়। তবে কেউ অর্ডার দিলে ১ কেজি থেকে ২ কেজি ওজনের মণ্ডাও তৈরি করে দেওয়া হয়। এখন এই শীতের মরশুমে ছানা এবং চিনির সঙ্গে নলেন গুড়ও মেশানো হচ্ছে। যার ফলে আরও অনেকটা বেড়েছে মণ্ডার স্বাদ। বর্ধমান- সিউড়ি রোডে পথচলতি অনেকেই গাড়ি থামিয়ে একবার হলেও এখানকার মণ্ডার স্বাদ নিয়ে যান। কলকাতা থেকে তারাপীঠ কিংবা বোলপুর-শান্তিনিকেতন যাওয়ার জন্য অনেকেই এখন এই রাস্তা ব্যবহার করেন ।ধনঞ্জয় কুর্মি নামের এক ক্রেতা বলেন, “এর স্বাদ খুবই ভাল। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেই আমি মন্ডা কিনে খাই, আর বাড়ির জন্য নিয়ে যাই।”
বেশ কয়েক দশকের পুরানো এই দোকান। এক সময় এই দোকান থেকেই মাত্র ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ছানার মণ্ডা তৈরি হত। তবে বর্তমানে প্রত্যেকদিন এখন এক থেকে দেড় কুইন্টাল ছানার মন্ডা তৈরি হয়। ক্রেতাদের কথায়, এখানকার মন্ডা এতটাই খাস্তা , যে মুখে দিলেই নাকি সন্দেশের মতো মিলিয়ে যায়। খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই পূর্ব বর্ধমানের বড়া চৌমাথার মণ্ডা কিনেও নিয়ে যান। রাজ্যের বাইরে তো বটেই, তার সঙ্গে নাকি বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে বড়া চৌমাথার মন্ডা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী