আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত হলে কেন চলে যায় গন্ধ শোঁকার ক্ষমতা? জানালেন গবেষকরা
স্থূলতা কমাতে (Weight Loss Tips) আমরা চেষ্টা তো করি ঠিকই কিন্তু বুঝতে পারি না অসাবধানতাবশত কোন বিষয়গুলি উপেক্ষা করে ফেলছি। ফলে শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়, পেটের চর্বি বাড়তে শুরু করে। যদি ওজন কমিয়ের সত্যিই ফিট এবং সুস্থ থাকতে চান তাহলে কিছু অভ্যাস সম্পূর্ণরূপে এড়ানো উচিত।
advertisement
পুষ্টিকর খাবার খান
ওজন কমানোর (Weight Loss Tips) চেষ্টায় অনেকেই কঠিন ডায়েট প্ল্যান মেনে চলেন। অনেকেই পেটের চর্বি দ্রুত কমাতে কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বিযুক্ত খাবার জীবন থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেন। এভাবে নিজের খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে পরে ভুগতে হবে নিজেকেই। এভাবে নিজে নিজের ডায়েট প্ল্যান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, এর ফলে শরীরে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির ঘাটতিও দেখা দিতে পারে।
পেশী ক্ষয় এবং শরীরে জলের অভাবের মতো সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। দৈনন্দিন রুটিনে সুষম, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়াও, আপনার দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে নজর রাখুন।
ব্যায়াম করুন সঠিক উপায়ে
ওজন কমাতে কমাতে আপনা থেকেই পেশী ভরের পাশাপাশি চর্বিও ঝরতে থাকে। কতটা পরিমাণে কমবে তা নির্ভর করে বেশ কয়েকটি কারণের উপর। যদি ক্যালোরির উপর নজর না রেখেই ব্যায়াম করেন করতে থাকেন তবে আপনার বিপাক এবং পেশী ভর কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে চর্বিহীন রাখতে সাহায্য করে এবং আপনার বিপাক ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। আপনার যত বেশি চর্বিহীন পেশী ভর হবে, ওজন কমানো তত সহজ হবে।
আরও পড়ুন- পেয়ারার গুণ অসীম, তবে সন্ধ্যেবেলা পেয়ারা খাচ্ছেন! কী মারাত্মক ভুল করছেন জানেন?
জল খান বেশি
আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে সারাদিন নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতেই হবে। যথেষ্ট পরিমাণ জল খেলে তা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। হাইড্রেটেড থাকলে কেবল পেট ভরাই থাকে না উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়, শরীরের বিপাক ক্ষমতাও বেড়ে যায়।
যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম দরকার
ঘুমের অভাবের ফলে শরীরে কর্টিসল হরমোন বৃদ্ধি পায় যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এটি আপনার ওজন এবং স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার ফলে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার তাগিদও বেড়ে যায় যার ফলে ওজন বেড়ে যায়।