বাজারে এখন চাহিদা রয়েছে। সেই মতো যোগান দেওয়া সম্ভব হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, গাছের ডগায় পোকার আক্রমণ। মূলত দুই ধরনের পোকা জবা গাছে আক্রমণ করে। এই পোকাগুলি ফুল ফোটার পক্ষে ক্ষতিকর। তাই পোকা এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গের হাত থেকে গাছকে রক্ষা করতে হলে নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত গাছে নজরদারি চালাতে হবে। ফুল চাষী নকুল মণ্ডল বলেন, গাছের নিয়মিত পরিচর্যা প্রয়োজন। বছরে দুই থেকে তিনবার ভিটামিন প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও বাগানের একটি থেকে দুটি পোকা দেখা দিলেই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই জবা গাছ ভাল থাকবে। ফুল ভাল ফুটবে।
advertisement
জবা গাছ আকারে অনেকটাই বড় হয়। তাই গাছের কোন অংশে পোকা দেখা দেওয়া মাত্রই দ্রুত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে বাগান জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে ক্ষতিকর এই পোকাগুলি। গাছের ডগা নষ্ট করে দেয়। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুল ফুটতে পারে না। তাই মাঝেমধ্যেই গাছে এই পোকা মারার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত কীটনাশক এবং ভিটামিন প্রয়োগ করলে গাছ সুস্থ স্বাভাবিক থাকবে।
শীতের মরশুমেও অধিক পরিমাণে জবা ফুল ফুটবে। শুধু তাই নয়, সারা বছর গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ফুটবে। মালদহের মোথাবাড়ির ফুল চাষী নকুল মণ্ডল এই সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে জবা চাষ করে বছরভর ভাল রোজগার করছেন। তিনি প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার ফুল পাচ্ছেন বাগানে। এখন বাজারে যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনই দামও ভাল রয়েছে।
হরষিত সিংহ





