সারা বিশ্ব জুড়েই বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডগুলি শেভিং ক্রিমকে আরও বেশি করে কমনীয় ও নিরাপদ প্রোডাক্ট হিসেবে বাজারে আনতে আগ্রহী। তাই শেভ করার সময় ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে শেভিং ক্রিম অনেকটাই কার্যকরী। শেভ করার সময় কী ভাবে ব্লেড চালানো হচ্ছে, কতটা কাছাকাছি শেভ করা হচ্ছে, হেয়ার গ্রোথের পরিমাণ কেমন, ত্বকে আগে থেকেই কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, কোন ধরনের শেভিং ক্রিম ব্যবহার করা হচ্ছে, আমাদের ত্বকের ধরন কেমন ইত্যাদি কারণের ওপরেও শেভিংয়ের ফলাফল নির্ভর করে। তবে শেভিং পরবর্তী সমস্যা অনেকেরই হয়। তাই এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই সমস্যার লক্ষণগুলি হল শেভ করার কয়েক ঘন্টা পরে লালভাব, শুষ্কতা এবং চুলকানি অনুভূত হওয়া (post shave irritation)। এই সমস্যা মোকাবিলা করার কয়েকটি উপায় রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অতিমারির নতুন আতঙ্ক ওমিক্রনের মোকাবিলায় কী কী করবেন
• আমাদের ত্বক যত বেশি শুষ্ক হবে, শেভ করার পরে তত সমস্যা তৈরি হবে। ত্বককে যথা সম্ভব ময়েশ্চারাইজড করতে হবে বা অ্যালোভেরা জেল সামান্য ঘষে নিয়ে শেভ করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
• সরাসরি শেভ শুরু না করে সামান্য ট্রিম করে নিয়ে প্রসেস শুরু করা ভালো। লম্বা চুলের জন্য একই জায়গায় একাধিকবার শেভ না করে শেভ করার আগে লম্বা অংশগুলি ট্রিম করাই ভালো।
আরও পড়ুন: দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য, বাড়বে ইমিউনিটি, শীতে এক কোয়া কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার!
• মনে রাখতে হবে, শেভ সব সময় হেয়ার গ্রোথের দিকে খেয়াল রেখে করা উচিত। এতে চুল পড়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে।
• সঠিক শেভিং ক্রিম ব্যবহার করা খুবই দরকার। শাওয়ার জেল বা সাবান কখনওই ব্যবহার করা ঠিক নয়। আমাদের ত্বকের ধরনের উপর নির্ভর করে, একটি শেভিং ক্রিম/ফোম/জেল বেছে নিতে হবে যা ত্বককে নিরাপদ রাখবে।
আরও পড়ুন: ব্রণ নিয়ে এই ভুল ধারণাগুলো মানছেন নাকি? এখনই বেরিয়ে আসুন ভ্রান্তি কাটিয়ে
• ত্বকে চুলকানি শুরু হলে নখ দিয়ে আঁচড়ানো উচিত নয়। চুলকানি থেকে ত্বকে আরও নানান সমস্যা তৈরি হতে পারে। ত্বক খারাপ হওয়া এড়াতে সদ্য কামানো ত্বককে নিশ্চিন্তে বাতাস নিতে দেওয়া উচিত।
• শেভিংয়ের পর অ্যালোভেরা জেল বা কুলিং আফটার-শেভ লোশন দুর্দান্ত কাজ করে! ত্বকের র্যাশ, জ্বালা, চুলকানি ইত্যাদি কমাতে অ্যালোভেরা জেলের জুড়ি মেলা ভার।