Myths and Facts about Pimple and Acne: ব্রণ নিয়ে এই ভুল ধারণাগুলো মানছেন নাকি? এখনই বেরিয়ে আসুন ভ্রান্তি কাটিয়ে

বয়স ১৩ থেকে ১৮ মানেই ব্রণর সমস্যায় নাজেহাল হওয়া৷ তবে অনেক ক্ষেত্রেই ব্রণ (pimples) যেতে চায় না তার বহু বসন্ত পরেও৷ তারুণ্য পেরিয়ে যৌবনের উপান্তে পৌঁছিয়েও তাড়া করে বেড়ায় ব্রণর দগদগে ক্ষত (scars of pimple and acne)৷

আসলে ব্রণ নিয়ে ছড়িয়ে আছে বহু ভুল ধারণা৷ সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা নির্দেশ করেছেন এমনই বেশ কিছু ভুল ধারণা বা মিথ-এর দিকে (Myths and Facts about Pimple and Acne)৷

কৈশোরে তৈলগ্রন্থিগুলি বেশি সক্রিয় হয়ে পড়ে বলে এ সময় ব্রণর সমস্যা বেশি দেখা যায়৷ ব্রণর সঙ্গে রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে জড়িয়ে থাকে বংশগতি, ঋতুস্রাবচক্র, হরমোনের তারতম্য, অয়েল বেসড পণ্য বেশি ব্যবহার এবং ব্রণ খুঁটে ফেলা৷

আমরা অনেক দিন ধরে শুনে আসছি, কোষ্ঠকাঠিন্যর সঙ্গে ব্রণ নাকি যুক্ত৷ পেট পরিষ্কার না হলেই ব্রণ হয়-এরকম ধারণা পোষণ করেন অনেকেই৷

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত, কোষ্ঠকাঠিন্য সরাসরি জড়িত নয়৷ কিন্তু যদি কেউ কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে অত্যন্ত চিন্তা করেন, তাহলে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবে ব্রণ বাড়তে পারে৷

প্রচলিত ধারণা হল মুখের ত্বক ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে নাকি ব্রণ হয়৷ কিন্তু মুখ ক্রমাগত পরিষ্কার করে গেলেই যে ব্রণ হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ বরং বেশি বার মুখ ধুলে হিতে বিপরীত হবে৷

তবে মুখে ব্রণ বা অ্যাকনে হলে ত্বকে জীবাণু থাকলে ব্রণর সমস্যা তীব্র হয়ে উঠতে পারে৷

ব্রণর সঙ্গে স্ট্রেসও কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত নয়৷ তবে ত্বকে আগে থেকেই ব্রণ থাকলে স্ট্রেস বা মানসিক উদ্বেগ সেই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলবে৷ দেখা গিয়েছে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের মুখে বেশি ব্রণ দেখা যায়৷

অ্যাকনে বা ব্রণ হলেই সেটা ফাটিয়ে দিতে হবে-এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকেই৷ এটা যে কত বড় ভুল, তার কোনও তুলনা নেই৷ ব্রণ ফাটিয়ে দিলে ভয়ঙ্কর সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়৷ এতে ত্বকের সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করে৷

ব্রণ বা অ্যাকনে হলে কিছু করার দরকার নেই৷ নিজের থেকে হবে আবার নিজে নিজেই সেরে যাবে-এই বিশ্বাসে চুপ করে বসে থাকেন অসংখ্য ব্রণ জর্জরিত মুখ৷ এই ধারণা সর্বৈব ভুল৷ ব্রণ বা অ্যাকনে আপনাআপনি সেরে যায় না৷ এই সমস্যার শিকড় লুকিয়ে ত্বকের গভীরে৷ তাই ব্রণ সংক্রমণে ঘরোয়া টোটকার পাশাপাশি প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়৷