সেবাম যেহেতু একটি প্রাকৃতিক উপাদান তাই সেটি রক্ষা করতেই হয়। কিন্তু বহুবার রাসায়নিক যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বক ও স্ক্যাল্প থেকে সেবাম ধুয়ে বেরিয়ে যায়। তার ফলে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক এবং চুল হয়ে যায় রুক্ষ।
আরও পড়ুন- ডায়বেটিসের মারাত্মক চাপে জীবনে সাড়ে সর্বনাশ! সমীক্ষায় বড় বিস্ফোরণ
advertisement
সেবামের উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
সেবাম সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি এবং অক্সিডেটিভ ক্ষয় থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকে আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখে সেবাম। ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে কাজে আসে এই উপাদান। ত্বকের উপরিভাগে ফ্যাটে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিবহন করে সেবাম।
সেবামের উৎপাদন কম হলে কী করতে হবে?
গর্ভনিরোধক ওষুধ, অ্যান্টিঅ্যান্ড্রোজেন, অপুষ্টি এবং অনাহার সেবামের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। সেবামের উৎপাদন বাড়াতে গেলে হাল্কা গরম জলে স্নান করতে হবে, হাইলোরনিক অ্যাসিডযুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে হবে এবং প্রচুর জল ও ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সেবামের অতিরিক্ত উৎপাদন হলে কী করতে হবে?
সেবামের অতিরিক্ত উৎপাদন হলে ত্বকের ছিদ্র বড় হয়ে যায়। ফলে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা দেখা দেয়। যদি সেবামের উৎপাদন বেশি হয় তাহলে সেটা কম করতে হলে মুখে বরফ মাসাজ করতে হবে, সবসময় ত্বক থেকে তেল পরিষ্কার করতে হবে এবং ক্লে প্যাক লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন- দুধের পরে এই খাবারগুলি খাচ্ছেন? নিজের চূড়ান্ত ক্ষতি নিজেই করছেন! শরীরের দফরফা
সেবামের সামঞ্জস্য
ত্বকে সেবামের সামঞ্জস্য আনতে হলে প্রথমেই হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে হবে ভালো ফ্যাটযুক্ত খাবার যেমন নারকেলের দুধ, আখরোট, বাদাম ইত্যাদি। রাখতে হবে ওমেগা থ্রি এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারও। যদি সেবামের উৎপাদন ঠিকঠাক হয় তাহলে একগাদা মেকআপ করার কোনও দরকার হয় না। তাই একবার কোন কোন প্রসাধনী ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা দেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।