মন দিয়ে শোনা:
ধরা যাক, বস কোনও কারণে তিরস্কার করছেন । সেই সময় উত্তর না-দিয়ে বসের কথা মন দিয়ে শুনতে হবে ৷ যেন বস বুঝতে পারেন যে, তাঁর কথা মন দিয়ে শোনা হচ্ছে। আর বস বলা শেষ করলে তবেই উত্তর দিতে হবে।
যা যা শুনেছি, তা জানানো:
মনোযোগ দিয়ে শুনলেই শুধু হবে না, সেই সঙ্গে বস যা যা বলেছেন, সেই সব যে শোনা হয়েছে, সেটা বসকে জানাতে হবে। তাঁর আবেগকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। এতে তাঁরও ভাল লাগবে। ফলে বস রাগ না-করে বরং ফিডব্যাক দেবেন।
advertisement
আরও পড়ুন : পছন্দের মানুষের পাত্তা পাচ্ছেন না? কী করলে ক্রাশের দৃষ্টি আকর্ষণ সম্ভব? রইল টিপস...
বসের কথার পুনরাবৃত্তি নয়:
এর পরের ধাপে যেটা করতে হবে, সেটা হল- বস যা যা বলেছেন, সেটা হুবহু না-বলে ঠান্ডা ভাবে তার সারবত্তাটা বলতে হবে। এর ফলে তিনি বুঝবেন যে, তাঁর সমস্ত কথাই শোনা হয়েছে। আর এই সময় কোনও নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।
ক্ষমা চাওয়া:
কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় কোনও কারণ ছাড়াই বস তিরস্কার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কিছু মনে করলে চলবে না। বরং সেই সময় বসের মাথা ঠান্ডা করতে এগিয়ে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া অথবা ‘সরি’ বলা ভাল। পরে অবশ্য কাজের মাধ্যমে অথবা কোনও উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, বস ভুল বুঝেছিলেন।
আরও পড়ুন : সন্তান সেক্সটিংয়ে আসক্ত! এই পরিস্থিতি সামলাবেন কী ভাবে ?
সহ্যের সীমা ছাড়ালে সাহায্য প্রার্থনা:
দোষ না-থাকলেও বস যদি প্রচণ্ড তিরস্কার করেন, তা হলে সে ক্ষেত্রে তা সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সোজা HR-এর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে। কারণ নিজে যদি দোষী না-হন, তা হলে নিজের জন্য প্রতিবাদ কখনওই অন্যায় নয়।