কীভাবে বুঝবেন আপনার পোষ্যের ‘সেপারেশন অ্যাংজাইটি’ হচ্ছে কিনা!
খেয়াল করে দেখবেন, আপনি যেই ঘরের পোশাক ছেড়ে অন্য পোশাক পরে বাইরে যাবেন বলে তৈরি হচ্ছেন, ঠিক সে সময় আপনার কুকুর হঠাৎ করেই আপনাকে জড়িয়ে ধরছে। পা ধরে কোলে ওঠার চেষ্টা করছে। আপনি বেরিয়ে গেলে পোষ্য কিছুই খাচ্ছে না! জল পর্যন্ত খেতে চাইছে না! পছন্দের খাবার, খেলনা কিছুতেই আগ্রহ দেখাচ্ছে না! এবং মাটি বা দেওয়ালে হাত দিয়ে আচড়াচ্ছে! সারাদিন এক কোণে বসে থাকছে। আবার আপনি ফিরলেই ছুটোছুটি শুরু করে দিচ্ছে! আপনার কোলে উঠতে চাইছে। গোল গোল ঘুরছে। তাহলেই বুঝতে হবে যে আপনার কুকুরের ‘সেপারেশন অ্যাংজাইটি’ তৈরি হয়েছে। যা বেশিদিন থাকলে ওদের শরীর খারাপ হতে পারে! মনের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক থাকে। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া না করার ফলে এমনিতেই সে অসুস্থ হতে পারে! অকারণে রেগে যাচ্ছে! কামড়ে দিচ্ছে! তাহলে সাবধান হতে সময় নষ্ট না করে!
advertisement
কীভাবে এই ‘সেপারেশন অ্যাংজাইটি’ থেকে পোষ্যকে সুস্থ করবেন বা বের করবেন?
পোষ্যের ‘সেপারেশন অ্যাংজাইটি’ কাটাতে হলে মানতে হবে কিছু নিয়ম। যেমন আপনি বাইরে বা অফিস যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে অফিসের পোশাক পরে মেন দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান! তারপর মিনিট দশেক পর আবার পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে, টিভি চালিয়ে রিল্যাক্স করুন। এতে আপানর কুকুর বুঝবে যে, বাইরের পোশাক পরলেও আপনি যাচ্ছেন না! এর পর সময় মতো ওকে না বুঝতে দিয়ে বেরিয়ে যান! প্রতিদিন কাজে যাওয়ার আগে আপনার পোষ্যের পছন্দের ট্রিট দিন। এতে ও মনে মনে খুশি থাকবে। বাইরে যাওয়ার আগে পোষ্যাকে আদর করবেন না খুব বেশি। ওকে বুঝতে দিতে হবে বাইরে যাওয়াটা নর্মাল।
আরও পড়ুন: কন্যাশ্রীর ব্যানারে বালুরঘাটের দুই ছাত্রী! কী নাম তাদের? চিনে নিন এই দুই কন্যাকে!
আরও পড়ুন:
এরপর বাড়ি ফিরে কুকুরকে নিয়ে দশ মিনিটের জন্যে হলেও হাঁটতে যান! মাঝে মধ্যে পোষ্যের জন্য কিছু খেলনা কিনে এনে দিন! শুধু অফিস নয়, মাঝে মধ্যেই বাড়ির বাইরে যান আপনি কম করে মিনিট ২০র জন্য। এতে কুকুর আপনার বাইরে যাওয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত হবে। বাড়িতে থাকলে ওকে একটু বেশি সময় দিন। অফিস যাওয়ার আগে নিয়ম করে কুকুরের সঙ্গে ৩০ মিনিট কম করে খেলুন। দৌড় করান। সঠিক শরীর চর্চায় আপনার কুকুর ক্লান্ত হবে! আর শরীর চর্চা সঠিক থাকলে কুকুরের মন মেজাজও ভাল থাকে। ক্লান্ত থাকার জন্য আপনার কুকুর সঠিক সময়ে ঘুমোবে! খাবে! এবং আপনি না থাকলেও ভাবার সময় পাবে না! এর পরেও যদি দেখেন সমস্যা কমছে না, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন!